Banglanet

রাসেল দাস
রাসেল দাস

Posted on

ব্যস্ত জীবনে স্বাস্থ্যকর ডায়েট প্ল্যান নিয়ে কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা

ভাইরা, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ অনুযায়ী খুলনা সিটিতে কাজের চাপ তো আগের মতোই রয়েছে, বিশেষ করে আমাদের যারা চিকিৎসা পেশায় আছি। রোগী দেখা, ওয়ার্ড ঘুরে দেখা, ফলোআপ, ডকুমেন্টেশন মিলিয়ে দিনের শেষে শরীরটা ঠিক মতো খেয়াল করার সময়ই থাকে না। তাই গত কয়েক মাস ধরে আমি নিজের জন্য একটা সহজ এবং টেকসই ডায়েট প্ল্যান তৈরি করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন বেশ ভালো লাগছে, তাই ভাবলাম আপনাদের সাথেও অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করি।

ডায়েট প্ল্যান বলতে আমরা অনেকেই শুধু ওজন কমানোর দিকে ফোকাস করি, কিন্তু আমার লক্ষ্য ছিল শক্তি ধরে রাখা এবং ব্যস্ত শিফটে শরীর-মনকে ঠিক রাখা। সকালে আমি সাধারণত ভাত এড়িয়ে যাই, কারণ সেটি অফিস শুরু হওয়ার আগে একটু ভারী লাগে। তার বদলে ওটস বা ডিম, কিছু সবজি আর চা নিয়ে দিন শুরু করি। মাশাআল্লাহ, এতে পেটও হালকা থাকে আর ক্লান্তিও কম লাগে। আপনারা যারা ভোরে বের হন, তাদের জন্য এটা বেশ কাজে দেয়।

দুপুরে হাসপাতালের ক্যান্টিনের খাবার সব সময় স্বাস্থ্যকর হয় না, তাই আমি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিজে করে খিচুড়ি বা সবজি-ভর্তা-ডাল নিয়ে যাই। এতে লবণ আর তেলের নিয়ন্ত্রণ থাকে। পাশাপাশি পানি পানের দিকেও খেয়াল রাখছি। আমরা ডাক্তাররা রোগীদের দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে বলি, কিন্তু নিজেরাই ঠিকভাবে মানি না। এখন চেষ্টা করি অন্তত এক লিটার কাজের জায়গাতেই শেষ করতে। ইনশাআল্লাহ, এই অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে বেশ ভালো কাজ করবে।

রাতে ঘরে ফিরে ভারী খাবার কমিয়ে দিয়েছি। ইলিশ বা মুরগির ঝোল, সাথে পরিমাণমতো ভাত কিংবা রুটি রাখি। রাতে যদি অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগে, তখন ফল খাই, বিশেষ করে কলা বা আপেল। যদিও মাঝে মাঝে ফুচকা বা চটপটির লোভ সামলানো কঠিন, তবু সপ্তাহে একদিন চিট মিল রাখি, যাতে মনটা ভালো থাকে আর প্ল্যানটাও ভেঙে না যায়।

সবশেষে একটা কথা, ডায়েট প্ল্যান যাই বানান না কেন, সেটাকে নিজের জীবনের সাথে মানানসই হতে হবে। খুব কঠিন কিছু নিলে সপ্তাহখানেক পরেই বিরক্তি ধরে যায়। নিজেকে সময় দিন, ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনুন। ইনশাআল্লাহ, কয়েক মাস পরে পরিবর্তন নিজের চোখেই দেখতে পাবেন। আপনাদের কেউ যদি নিজের ডায়েট অভ্যাস নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চান, অবশ্যই জানাবেন ভাই, উপকার হবে সবাইরই।

Top comments (0)