আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপুরা। আজকে একটু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। আমি মিরপুরে থাকি, ছোটবেলা থেকেই নামাজ পড়তাম কিন্তু সত্যি কথা বলতে অনেকদিন ঠিকমতো নিয়ম জানতাম না। শুধু মা বাবাকে দেখে দেখে যা শিখেছিলাম সেভাবেই পড়তাম। গত বছর আমার এক বন্ধু বললো যে নামাজের সঠিক নিয়ম না জানলে নামাজ কবুল নাও হতে পারে। কথাটা শুনে মনে খুব ধাক্কা লাগলো।
এরপর থেকে আমি ইউটিউবে বিভিন্ন আলেমদের ভিডিও দেখা শুরু করলাম এবং মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছেও গেলাম। তিনি খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন যে ওযু থেকে শুরু করে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত প্রতিটা ধাপ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ওযুর সময় প্রতিটা অঙ্গ তিনবার করে ধোয়া, নিয়ত করা, তাকবীরে তাহরীমা, সানা পড়া, সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা মিলানো, রুকু সিজদার তাসবীহ, এগুলো সব আলাদা আলাদা করে শিখলাম। মাশাআল্লাহ এখন অনেক ভালো লাগে নামাজ পড়তে।
একটা জিনিস আমি বুঝলাম যে নামাজে খুশু বা একাগ্রতা খুব জরুরি। আগে নামাজ পড়তাম কিন্তু মন থাকতো অন্য কোথাও। এখন চেষ্টা করি আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়েছি এই অনুভূতি ধরে রাখতে। ইমাম সাহেব বললেন যে নামাজে যখন সিজদায় যাই তখন আমরা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে থাকি। এই কথাটা মনে রাখলে সিজদায় অন্যরকম একটা প্রশান্তি আসে।
আমার পরামর্শ থাকবে যারা নামাজের নিয়ম নিয়ে কনফিউজড তারা অবশ্যই কোনো বিশ্বস্ত আলেমের কাছে যান অথবা নির্ভরযোগ্য বই পড়ুন। "বেহেশতী জেওর" বইটা অনেক কাজের। আর ছোট বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই সঠিক নিয়মে নামাজ শেখান। আমি আমার ছোট ভাইকে এখন নিজে শেখাচ্ছি যাতে সে ভুল নিয়মে অভ্যস্ত না হয়ে যায়।
আলহামদুলিল্লাহ এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি। ফজরের নামাজটা কঠিন লাগে ঠিকই কিন্তু মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রাখি। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক নিয়মে নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন। কেউ কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন, যতটুকু জানি শেয়ার করবো। 🤲
Top comments (0)