৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে আবহাওয়ার তারতম্য দেখা যাচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি জলবায়ু পরিবর্তনেরই প্রভাব। বিজ্ঞানীরা বহুদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন যে বিশ্বের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় দেশে এর প্রভাব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিশেষ করে নদীভাঙন, অতিবৃষ্টি এবং অনিয়মিত মৌসুমী প্রবাহ এখন অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ আমরা এখনো বিপর্যয়কর অবস্থায় পৌঁছাইনি, তবে সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ভবিষ্যৎ আরও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি এবং শুষ্ক মৌসুমে অস্বাভাবিক খরা দেখা যাচ্ছে। আমি নিজে আইটি সাপোর্টের কাজে যাতায়াতের সময় লক্ষ্য করেছি যে আগে যেখানে বর্ষাকালে রাস্তাঘাটে সামান্য পানি জমলেও এখন অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। স্থানীয়রা বলছেন, আশপাশের জলাধার এবং খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা ছাড়া এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, নগরায়নের এই দ্রুত বিস্তার পরিবেশকে আঘাত করছে। ঢাকার মতো বড় শহরে বায়ুদূষণ এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিদিন গুলশান, মিরপুর বা মোহাম্মদপুরে যারা যাতায়াত করেন তারা সহজেই লক্ষ্য করতে পারেন যে সকাল-বিকেলে ধুলাবালির মাত্রা বেড়ে যায়। উন্নত পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সবুজায়ন বাড়ানোর মাধ্যমে এই পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত করা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ছে।
অনেক তরুণ এখন পরিবেশ সচেতনতায় এগিয়ে আসছেন যা খুবই ইতিবাচক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব ক্যাম্পেইন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য ব্যবহারের প্রচার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমার এক সহকর্মী সম্প্রতি ঘরে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছেন, যা নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। মাশাআল্লাহ এমন উদ্যোগগুলো যদি ছড়িয়ে পড়ে তবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি আরও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাবে।
পরিবেশ রক্ষা শুধু সরকারের কাজ নয়, প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। প্লাস্টিক কম ব্যবহার করা, গাছ লাগানো, পানি অপচয় না করা এবং নিজের এলাকায় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুব সাধারণ কিন্তু কার্যকর অভ্যাস। আমাদের ছোট ছোট প্রচেষ্টাই বড় পরিবর্তন আনতে পারে। সময় থাকতে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের অপেক্ষায় থাকতে পারে। তাই এখনই সবাইকে এগিয়ে এসে পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখতে হবে।
Top comments (0)