মামারা আর আপুরা, আজকে ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ভাবতে বসে মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রসঙ্গটা মাথায় এলো। ছোটবেলা থেকেই আকাশের তারা দেখলে আমার ভীষণ কৌতূহল জাগত। খুলনা সিটির ছাদে বসে শীতের রাতে যখন ঠান্ডা হাওয়া বইত, তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতাম মানুষের পক্ষে কি কখনো এসব তারার কাছে যাওয়া সম্ভব কিনা। আলহামদুলিল্লাহ, সময়ের সাথে সাথে জেনেছি যে বিজ্ঞানীরা মহাকাশ সম্পর্কে প্রতিদিনই নতুন কিছু জানছে।
বর্তমানে নানা দেশের গবেষণা কেন্দ্র আর মহাকাশ সংস্থাগুলো নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। টেলিস্কোপ, স্যাটেলাইট আর স্পেস প্রোবের মাধ্যমে মহাবিশ্বের গভীর দিকগুলো ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও উন্নত প্রযুক্তি তৈরি হবে। বিশেষ করে যারা স্কুল কলেজে পড়ে, তাদের কাছে মহাকাশ বিজ্ঞান এখন অনেক আকর্ষণীয় একটি বিষয় হয়ে উঠেছে। আমার নিজের ছোট ছেলে ইউটিউবে বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও দেখে নানান প্রশ্ন করে বসে, যা দেখে সত্যিই ভালো লাগে।
মহাকাশ বিজ্ঞানের আরেকটি দারুণ দিক হলো এটি মানুষকে নিজের সীমাবদ্ধতার বাইরে ভাবতে শেখায়। পৃথিবীর বাইরের গ্রহগুলো নিয়ে গবেষণা, বিভিন্ন নক্ষত্রের সৃষ্টি আর মহাকাশে সম্ভাব্য জীবনের তত্ত্ব এগুলো শুনলেই মাথার ভেতর নতুন চিন্তার দরজা খুলে যায়। বর্তমানে আমরা যা জানি তা পুরো মহাবিশ্বের তুলনায় খুবই কম। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আরও হাজার হাজার বছর গবেষণা করলেও সব রহস্য ধরা সম্ভব নাও হতে পারে।
আমার মনে হয় আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীদের এই বিষয় নিয়ে আরও উৎসাহিত করা দরকার। স্কুলের বিজ্ঞান মেলা বা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রকল্প থাকলে বাচ্চারা আরও আগ্রহী হয়ে শিখবে। আমরা যারা গৃহিণী হিসেবে ঘরে থাকি, তারাও বাচ্চাদের পড়াশোনায় একটু উৎসাহ দিলে তারা ভবিষ্যতে বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
সবশেষে বলতে চাই, মহাকাশ বিজ্ঞান শুধু বিজ্ঞানীদের জন্য নয়, আমাদের সাধারণ মানুষের কাছেও চিন্তার নতুন দিগন্ত খুলে দেয়। খুলনা কিংবা ঢাকার ছাদে দাঁড়িয়ে রাতের আকাশের দিকে তাকালেই মনে হয় মহাবিশ্ব যে কত বড় এবং আমরা যে কত ছোট। তারপরও মানুষ জ্ঞানের খোঁজে এগিয়ে যাচ্ছে, এটিই আমাদের আসল শক্তি। মাশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু জানার অপেক্ষায় আছি। 🌟
Top comments (0)