আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপারা। আজকে একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। খুলনায় থাকি, রূপসা নদীর পাড়ে বড় হয়েছি। ছোটবেলায় যে নদী দেখতাম, আর এখন যা দেখি, পার্থক্যটা চোখে পড়ার মতো। পানির রং বদলে গেছে, মাছ কমে গেছে, নদীর পাড়ে প্লাস্টিকের স্তূপ। এসব দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়। বই পড়তে ভালোবাসি, তাই পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে অনেক বই পড়েছি। যা শিখেছি, তা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।
পরিবেশ দূষণের মূল কারণগুলো আমরা সবাই কমবেশি জানি। শিল্প কারখানার বর্জ্য, গাড়ির ধোঁয়া, প্লাস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহার, এগুলো তো আছেই। কিন্তু একটা জিনিস আমরা অনেকেই খেয়াল করি না, সেটা হলো আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাস। চা খেয়ে প্লাস্টিকের কাপটা যেখানে সেখানে ফেলে দিই, পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করি অহরহ। এই ছোট ছোট কাজগুলোই জমে বড় সমস্যা তৈরি করছে। সুন্দরবনের কথাই ধরুন, আমাদের গর্বের এই বন এখন কতটা হুমকির মুখে।
আমি নিজে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি। বাজারে যাওয়ার সময় কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে যাই, পানির বোতল বারবার ব্যবহার করি, বাসায় গাছ লাগিয়েছি বারান্দায়। ছোট ছোট পদক্ষেপ মনে হতে পারে, কিন্তু সবাই মিলে করলে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। গত মাসে আমাদের এলাকার কয়েকজন মিলে নদীর পাড় পরিষ্কার করলাম, অনেক প্লাস্টিক বর্জ্য সরালাম। এরকম উদ্যোগ বাড়ানো দরকার।
বৈজ্ঞানিকভাবে বললে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পড়বে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে, ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বাড়ছে, বন্যা অনিয়মিত হচ্ছে। এসব মোকাবেলায় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতা জরুরি। নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে হবে, সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়াতে হবে।
শেষে বলি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে এই দায়িত্ব পালন করতে পারবো। আপনারা কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন পরিবেশ রক্ষায়? কমেন্টে জানাবেন। 🌱
Top comments (0)