১৯ অক্টোবর ২০২৫, ঢাকা থেকে পাওয়া সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে ওয়েব ডিজাইন শেখার আগ্রহ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বিশেষ করে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় থাকা শিক্ষার্থীরা অনলাইন কোর্স, ইউটিউব টিউটোরিয়াল এবং ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দক্ষতা বাড়াচ্ছে। প্রযুক্তি খাতে কাজের সুযোগ বাড়ায় অনেকেই এখন স্কুল বা কলেজ জীবন থেকেই ওয়েব ডিজাইন শিখে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত অনলাইন কোর্সও এ প্রবণতাকে আরও ত্বরান্বিত করছে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়েব ডিজাইনের মূল ভিত্তি HTML, CSS এবং JavaScript শেখা এখন বেশ সহজ হয়ে গেছে, কারণ অনলাইনে প্রচুর বিনামূল্যের উপকরণ পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা Pathao বা bKash এর মত পরিচিত ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইট দেখে শিখছে কীভাবে আধুনিক ওয়েবপেজ তৈরি হয়। কিছু তরুণ ইতিমধ্যে ছোট ব্যবসা বা স্টার্টআপের জন্য ওয়েবসাইট বানিয়ে আয় করতেও শুরু করেছে, যা অনেকের কাছে মাশাআল্লাহ অনুপ্রেরণাদায়ক উদাহরণ।
গুলশানে থাকা এক কলেজ শিক্ষার্থী আমাকে জানিয়েছে যে সে প্রতিদিন ক্লাসের পর দুই ঘণ্টা করে ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে ওয়েব ডিজাইন অনুশীলন করে। তার কথায়, শুরুতে বিষয়টা কঠিন লাগলেও কয়েক সপ্তাহ পর নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। সে আরও বলেছে যে নিজের প্রথম ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বানাতে পেরে তার মনে হয়েছে পরিশ্রম করলে ইনশাআল্লাহ আরও বড় কিছু করা সম্ভব। অনেক শিক্ষার্থীই স্কুলের আইটি ক্লাব বা বন্ধুদের সঙ্গে ছোট ছোট প্রজেক্ট করে অভিজ্ঞতা অর্জন করছে।
একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নবীন ওয়েব ডিজাইনারদের জন্য ইন্টার্নশিপ বা পার্টটাইম কাজের সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি বাস্তব কাজে যুক্ত হতে পারছে, যা তাদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি এই ধারা চলতে থাকে, তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে দক্ষ ওয়েব ডিজাইনারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ওয়েব ডিজাইন এখন শুধু একটি দক্ষতা নয়, বরং ভবিষ্যতের বড় ক্যারিয়ার সুযোগ হিসেবে উঠে এসেছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবা ও অনলাইন ব্যবসার প্রসার বাড়ায় তরুণদের মধ্যে এ নিয়ে উৎসাহ আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যদি নিয়মিত অনুশীলন, ধৈর্য এবং সঠিক দিকনির্দেশনা নিয়ে এগিয়ে যায়, তাহলে তারা দেশের প্রযুক্তি খাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (0)