Banglanet

Rajan Uddin
Rajan Uddin

Posted on

বি সি এস পরীক্ষায় সফল হওয়ার আপডেটেড টিপস ও প্রস্তুতি নির্দেশিকা

৬ জুলাই ২০২৫ অনুযায়ী বর্তমান পরীক্ষার ধারা বিবেচনা করলে দেখা যায় যে বি সি এস পরীক্ষায় নিয়মিত ও কাঠামোবদ্ধ প্রস্তুতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অনেক নতুন পরীক্ষার্থী মনে করেন শুধু বই মুখস্থ করলেই হবে, কিন্তু বাস্তবে আরও কিছু কৌশল অনুসরণ করলে প্রস্তুতি অনেক গুছানো হয়ে যায়। বিশেষ করে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা প্রতিটি ধাপেই আলাদা মনোযোগ দরকার। ঢাকা, চট্টগ্রাম বা রাজশাহী যেখানেই থাকুন না কেন, ধৈর্য ধরে পরিকল্পিতভাবে এগোলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফল আসবে।

প্রথমেই বলা যায় প্রিলিমিনারির প্রস্তুতিকে শক্তিশালী করতে মৌলিক বিষয়গুলো বারবার রিভিশন করা খুব জরুরি। প্রিলিমিনারিতে সময় ব্যবস্থাপনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে মডেল টেস্ট সমাধান করুন। আপনি চাইলে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন

১. বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি প্রতিদিন পালাক্রমে পড়ুন

২. গণিত ও যুক্তি অংশে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫টি সমস্যা সমাধান করুন

৩. গত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র দেখে প্রশ্নের ধরন বোঝার চেষ্টা করুন

৪. সপ্তাহে একদিন পুরো সিলেবাসের একটি ছোট রিভিশন দিন

লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিশাল সিলেবাসের কারণে অনেকেই চাপ অনুভব করেন। কিন্তু কয়েকটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করলে এটি সহজ হয়। প্রথমত, আপনার নোটগুলো নিজের ভাষায় লিখুন যাতে দ্রুত মনে রাখা যায়। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড রেফারেন্স বই ফলো করুন এবং অপ্রয়োজনীয় উপকরণে সময় নষ্ট করবেন না। তৃতীয়ত, উত্তর লেখার অনুশীলন অত্যন্ত জরুরি, কারণ লিখিত পরীক্ষায় শব্দচয়ন, যুক্তি ও উপস্থাপনা বড় ভূমিকা রাখে। আপনি চাইলে প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে মিনি টেস্ট দিতে পারেন, এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে আলহামদুলিল্লাহ।

ভাইভা বোর্ড সাধারণত প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস এবং সমস্যার সমাধান করার দক্ষতা যাচাই করে। তাই ভাইভার প্রস্তুতিতে নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে শেখা গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সাম্প্রতিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, সমাজ, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে আপডেট থাকতে হবে। ডাক্তার হিসেবে আপনার নিজের ক্ষেত্র সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নও আসতে পারে, তাই পেশাগত বিষয়গুলোর মূলনীতি আরেকবার ঝালাই করে নেওয়া ভালো। পাশাপাশি বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীদের নিয়ে প্র্যাকটিস সেশন করলে কথা বলার আত্মবিশ্বাস বাড়বে ইনশাআল্লাহ।

সবশেষে, বি সি এস প্রস্তুতি একটি দীর্ঘমেয়াদি যাত্রা। তাই মানসিক শক্তি ধরে রাখা, সুস্থ থাকা, নিয়মিত ঘুম এবং শরীরচর্চা বজায় রাখা খুবই জরুরি। সময়ে সময়ে নিজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করুন এবং বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, পরিশ্রম চালিয়ে যান। মাশাআল্লাহ আপনার দৃঢ়তা থাকলে সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।

Top comments (0)