Banglanet

নিলয় শেখ
নিলয় শেখ

Posted on

সহজ ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করার কিছু বাস্তব অভ্যাস

মিরপুরের ব্যস্ত লাইফস্টাইলে স্বাস্থ্য ঠিক রাখা অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়, বিশেষ করে যখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কারণে বেশিরভাগ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হয়। তাই আজ ১৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে কিছু সহজ ডায়েট প্ল্যানের টিপস শেয়ার করলাম, যা আমি নিজেও গত কয়েক মাস ধরে চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ নিয়ম মেনে চললে এর ভাল ফল পাওয়া যায়।

প্রথমেই পানি খাওয়ার অভ্যাস বাড়ানো জরুরি। অনেক ভাই ভাবেন শুধু খাবার কম খেলেই ওজন কমে যাবে, কিন্তু পানি কম খেলে শরীর অলস লাগে এবং মেটাবলিজমও ধীর হয়ে যায়। আমি নিজের ক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি খাওয়ার লক্ষ্য রাখি। Pathao খাবার অর্ডার করার বদলে দিনে অন্তত একবেলা ঘরে রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি, এতে তেল এবং লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

প্রতিদিনের খাবারে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিন এবং শাকসবজি বাড়ানোর চেষ্টা করলে ইনশাআল্লাহ ভাল ফল পাওয়া যায়। যেমন সকালে ওটস বা ডিম, দুপুরে ভাত কম নিয়ে সঙ্গে সবজি এবং মাছ, আর রাতে হালকা খিচুড়ি বা চিকেন স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। মাঝে ক্ষুধা লাগলে ফুচকা বা চটপটির বদলে বাদাম, দই বা ফল খাওয়া অনেক ভাল। Freelancer হিসেবে কাজ করার সময় টানাটানিতে চা বারবার খাওয়া স্বাভাবিক, তবে চিনি কমিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিয়মিত সময়ে খাওয়া। মিরপুরের ট্রাফিক বা কাজের ডেডলাইনের কারণে অনেকেই খাবার দেরিতে খান, এতে গ্যাস্ট্রিক এবং হজমের সমস্যা বাড়তে পারে। আমি চেষ্টা করি রাতে ঘুমানোর দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে ফেলতে। সঙ্গে দিনে সামান্য হলেও হাঁটা রাখা খুব জরুরি। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ২০ মিনিট হাঁটলে শরীর হালকা লাগে এবং মানসিক চাপও কমে।

সবশেষে মনে রাখবেন ডায়েট মানে ক্ষুধার্ত থাকা বা প্রিয় খাবার বাদ দেওয়া না। ডায়েট মানে সঠিক ভারসাম্য রাখা এবং দীর্ঘমেয়াদী অভ্যাস তৈরি করা। ধীরে ধীরে এগোলে এবং নিজের শরীরের সাথে মিলিয়ে পরিকল্পনা করলে ইনশাআল্লাহ টেকসই পরিবর্তন আসে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি নিয়মিত চেষ্টা করলে খুব সাধারণ পরিবর্তনও বেশ কার্যকর হতে পারে। 🌿

Top comments (0)