Banglanet

রাকিব সাহা
রাকিব সাহা

Posted on

নামাজের নিয়ম ও আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা

ধানমন্ডির ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিনের দৌড়ঝাঁপের মাঝেও নামাজ ঠিকমতো পড়া আমার কাছে একধরনের শান্তি। আলহামদুলিল্লাহ, ছোটবেলা থেকেই দেখতাম আব্বা প্রতিদিন সময়মতো নামাজ আদায় করেন। ওনার কাছ থেকেই প্রথম শিখেছি নিয়ত কিভাবে করতে হয়, রুকুতে যাওয়ার ভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত আর সিজদার সময় কীভাবে মনকে আল্লাহর দিকে নিবিষ্ট রাখতে হয়। এখনো মনে আছে স্কুল ছুটির পর মসজিদের হুজুর আমাদের ধীরে ধীরে শিখাতেন সূরা ফাতিহা ঠিকভাবে পড়ার নিয়ম, যা আজও অনেক উপকারে আসে।

নামাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর একটি হচ্ছে নিয়ত। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিয়ত পরিষ্কারভাবে মনে মনে করে নিতে যাতে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়। তারপর তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটা নিজের কাছে খুব শান্তিময় মনে হয়। রুকুতে যাওয়ার সময় আমি সবসময় চেষ্টা করি পিঠ সোজা রাখতে আর তাসবিহ পড়ার সময় মনকে একটু শান্ত করি। সিজদা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি হৃদয়স্পর্শী অংশ, কারণ এখানেই মানুষ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয় বলে মনে হয়।

এই কয়েক বছরে দেখেছি জীবনের ব্যস্ততা অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে এখন ঢাকা শহরে প্রতিদিন যে পরিমাণ দৌড়ঝাঁপ করতে হয়, তাতে নামাজ অনেকের কাছেই কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু আমি নিজের দৈনন্দিন রুটিনে একটি আলাদা সময় রাখার চেষ্টা করেছি। পাঁচ ওয়াক্ত ঠিকঠাক আদায় করা সবসময় সম্ভব হয় না, তবে ইনশাআল্লাহ উন্নতির চেষ্টা করছি। আমি মাঝে মাঝে মোবাইলের ইসলামিক app এ রিমাইন্ডার দিয়ে রাখি যাতে সময় ভুলে না যাই। এতে পাঁচ ওয়াক্তের সময়সূচি ঠিক রাখা সহজ হয়।

সব শেষ কথা হল, নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় বিধান নয়, বরং একজন মানুষকে শান্ত, শৃঙ্খলাবদ্ধ আর ইতিবাচক রাখার একধরনের মানসিক প্রশিক্ষণ। মাশাআল্লাহ, যখনই মন খারাপ থাকে বা চাপে থাকি, দু রাকাত নফল নামাজ পড়ে অনেক স্বস্তি পাই। ধানমন্ডির মসজিদগুলোর পরিবেশও খুব শান্ত, সেখানে গিয়ে পড়লে মন আরও ভালো লাগে। আশা করি আমরা সবাই সময়ের অভ্যাস করে ধীরে ধীরে নিয়মিত নামাজের দিকে আরও মনোযোগী হতে পারব ইনশাআল্লাহ।

Top comments (0)