২২ জুন ২০২৫, ঢাকা। আজকাল ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে সুস্থ থাকার জন্য ফিটনেস নিয়ে মানুষের আগ্রহ দিনকে দিন বাড়ছে। বিশেষ করে গুলশান, বনানী আর ধানমন্ডির জিমগুলোতে দেখা যাচ্ছে সকাল-বিকাল নিয়মিত ভিড়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনযাত্রা দ্রুত বদলে যাওয়ায় এখন ফিটনেসের ধারণাও অনেক বিস্তৃত হয়েছে। আগে অনেকে ভাবতেন শুধু ওজন কমানোই ফিটনেস, কিন্তু এখন মানসিক সুস্থতা, নিয়মিত ঘুম আর সঠিক খাবারের ভারসাম্যকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ফিটনেস ট্রেইনারদের মতে, নিয়মিত ব্যায়াম শুরু করতে হলে প্রথমেই নিজের শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে একটি সহজ পরিকল্পনা বানানো জরুরি। অনেকেই সরাসরি কঠিন ওয়ার্কআউট শুরু করেন, পরে ক্লান্ত হয়ে ছেড়ে দেন। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, সপ্তাহে অন্তত তিন দিন হাঁটা বা হালকা দৌড় দিয়ে শুরু করা উচিত। ইনশাআল্লাহ এই ধীরে ধীরে অভ্যাস তৈরি হলে পরে শক্তিশালী ব্যায়ামে যাওয়া যায়। এদিকে ইউটিউব বা বিভিন্ন ফিটনেস অ্যাপের ভিডিও দেখে বাড়িতেই ব্যায়াম করার প্রবণতাও এখন বেশ জনপ্রিয়।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা বললে, গুলশানে আমি প্রায়ই সকালে লেকের পাশে হাঁটতে যাই। আলহামদুলিল্লাহ, নিয়মিত আধা ঘণ্টা হাঁটলেই মনটা ফ্রেশ থাকে এবং দিনের বাকি সময় কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে। অনেক সময় দেখি ছোট-বড় সবাই মিলেই দৌড়াচ্ছে, কেউ যোগব্যায়াম করছে, আবার কেউ নিজের মোবাইলে ডায়েট প্ল্যান দেখে ওয়ার্কআউট করে। এমন পরিবেশ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। স্থানীয় জিমগুলোর ট্রেইনাররাও বলছেন, এখন মানুষ শরীরচর্চাকে বিলাসিতা নয়, বরং প্রয়োজনীয়তা হিসেবে দেখছে।
খাদ্যাভ্যাস নিয়েও এখন সচেতনতা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশের খাবারের মধ্যে ভাত, মাছ, ডাল, সবজি অনেক উপকারী হলেও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে এক-দুদিন ইলিশ বা গরুর মাংস খাওয়া ভালো, তবে তেল-ঘি কম রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা সামগ্রিক ফিটনেসের বড় অংশ।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ফিটনেস এখন আর শুধু জিম বা ব্যায়ামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপন পদ্ধতি। যে কেউ চাইলে খুব সহজ কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। মাশাআল্লাহ, সচেতনতা যত বাড়ছে, আমাদের সমাজ ততটাই সুস্থতার দিকে এগোচ্ছে।
Top comments (0)