২৩ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি লবণাক্ততার বিস্তার এখন গ্রামাঞ্চলের কৃষি ও পানির উৎসে সরাসরি প্রভাব ফেলছে। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা এলাকায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে ধান, নারকেল ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়ার ঘটনা স্থানীয় মানুষকে নতুন করে ভাবাচ্ছে।
খুলনা শহরে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলি, গত কয়েক বছরে গরমের তীব্রতা আমরা নিজেরাই অনুভব করেছি। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ক্লাসে বসে অনেকেই অভিযোগ করে যে দুপুরের দমবন্ধ করা গরমে ক্যাম্পাসে হাঁটতেও কষ্ট হয়। আমাদের বিভাগের শিক্ষকরা প্রায়ই আলোচনায় বলেন যে বাড়তি তাপমাত্রা মূলত বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তনেরই অংশ। আলহামদুলিল্লাহ শহরে এখনো বড় ধরনের পরিবেশগত সংকট দেখা না গেলেও আশপাশের গ্রামগুলোতে পানির সংকট দেখা দিচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে।
সম্প্রতি পরিবেশবিষয়ক গবেষকরা বলছেন, এখন সময় প্রকৃতিকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতাকে আরও শক্তিশালী করা। স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি চালানোর পাশাপাশি প্লাস্টিক বর্জ্য কমানো, বৃক্ষরোপণ বাড়ানো এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্যের ব্যবহারকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। মাশাআল্লাহ বিভিন্ন ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এখন এসব কর্মসূচিতে তরুণদের যুক্ত করছে, যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক দিক।
এদিকে খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে অনেকে এখন আরামদায়ক উপায়ে যাতায়াতের জন্য সাইকেল ব্যবহার বাড়াচ্ছে। আমি নিজেও মাঝে মাঝে ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য সাইকেল ব্যবহার করি, এতে একদিকে জ্বালানির খরচ কমে, অন্যদিকে পরিবেশও তুলনামূলকভাবে সুরক্ষিত থাকে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়াতে পারলে শহরাঞ্চলের কার্বন নির্গমন অনেকটাই কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমাতে আমাদের সবার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। গবেষণা, নীতি পরিকল্পনা, জনগণের সচেতনতা এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার মিলেই একটি টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব। এখনই যদি প্রতিটি মানুষ নিজের অবস্থান থেকে ছোট ছোট পরিবর্তন আনতে শুরু করে, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্থ ও বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যাওয়া বাস্তবসম্মত হবে 😊
Top comments (0)