Banglanet

Prbha Begum
Prbha Begum

Posted on

দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধে নতুন উদ্যোগ ও নাগরিক প্রত্যাশা

দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে দেশে আবারও আলোচনার জোর বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে নানা মহল থেকে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ানোর দাবি উঠছে, আর সাধারণ মানুষও আশা করছে যে চলমান উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন হলে সরকারি সেবা আরও সহজলভ্য হবে। বিশ্লেষকদের মতে, আজকাল প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা যেমন অনলাইন সেবা, ডিজিটাল নথি সংরক্ষণ এবং স্বয়ংক্রিয় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি কমাতে সহায়ক হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ, এসব পরিবর্তনের সুফল দেশের নানা অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় বসবাস করতে গিয়ে আমি নিজেও বিভিন্ন দপ্তরে কাজের জন্য যেতে হয়েছে। আগে কোথাও নথি নিতে বা আবেদন জমা দিতে গেলে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হতো, আর অনেকে অনানুষ্ঠানিক সুবিধা চাইতেও দেখা যেত। তবে আজকাল বেশ কয়েকটি সেবা অনলাইন হওয়ায় সমস্যাটা কিছুটা কমেছে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে যদি আরও দপ্তর ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ শুরু করে, তাহলে জনগণের ভোগান্তি কমবে এবং দুর্নীতির সুযোগও সংকুচিত হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন যে দুর্নীতি প্রতিরোধ কোনও একক প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারধর্মী কাজ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সাধারণ নাগরিক সবাইকে একই সঙ্গে সচেতন ও দৃঢ় অবস্থানে থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন যে আজকাল দেশে সচেতনতা বাড়ছে এবং তরুণ প্রজন্মও সামাজিক মাধ্যমে দুর্নীতি বিরোধী আলোচনায় যুক্ত হচ্ছে, যা একটি ইতিবাচক পরিবর্তন।

অনেকে মনে করেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে নাগরিকদের নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি হয়, যেখানে মানুষকে শেখানো হয় কিভাবে অভিযোগ জানাতে হয় বা কোথায় তথ্য অনুসন্ধান করা যায়। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যখন মানুষ জানে তাদের অধিকার কী, তখন অন্যায় গ্রহণ করার প্রবণতা কমে যায়। মাশাআল্লাহ, এই ধরনের উদ্যোগ গোটা দেশের জন্যই উপকারী হতে পারে।

সবশেষে বলা যায়, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়া সহজ নয়, কিন্তু অসম্ভবও নয়। প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, কার্যকর নীতি, শক্তিশালী তদারকি এবং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাবে, আর দেশ এগিয়ে যাবে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনের দিকে।

Top comments (0)