২৮ নভেম্বর ২০২৫ এর এই সময়টায় বসে গত এক মাসের ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলো নিয়ে ভাবলে মিশ্র অনুভূতি কাজ করে। বিশেষ করে গত মাসে চট্টগ্রামে হওয়া বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটা তো পুরো দেশই মন দিয়ে দেখেছে। আমি প্রবাসে থাকলেও কাজ শেষে মোবাইলে স্কোর দেখে, মাঝে মাঝে রাত জেগে YouTube লাইভে ফলো করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, ইন্টারনেট ও bKash রিচার্জের সৌজন্যে সব সময় কানেক্টেড থাকা যায়। কিন্তু সত্যি বলতে কি, টি২০ সিরিজটা আমাদের জন্য বেশ কঠিন বাস্তবতা সামনে এনেছে।
গত মাসে হওয়া তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-০ তে জিতেছে। প্রথম ম্যাচে তারা ১৬ রানে, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪ রানে আর শেষ ম্যাচটাও জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়। আমি নিজেও খুব আশা করেছিলাম অন্তত একটা ম্যাচ আমরা উঠতে পারব, কিন্তু ইনশাআল্লাহ সামনে আরও সুযোগ আছে। আমার এক বন্ধু মিরপুরে থাকে, সে মেসেজে বলছিল যে দলের ফিল্ডিং আর ডেথ ওভারের বোলিংটাই সব থেকে বেশি হতাশ করেছে। প্রবাসে থাকলেও কথাগুলো শুনে মনে হলো নিজেরাই মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম, এতটাই টান অনুভব হয় জাতীয় দলের সঙ্গে।
তবে একই সময়ে গত মাসের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটা সত্যিই মন ভালো করে দিয়েছে। বাংলাদেশ ২৯৬ রান করে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১১৭ রানে অলআউট করে ১৭৯ রানে জিতেছিল। মাশাআল্লাহ, এই ম্যাচটা ছিল পুরো টুর্নামেন্টের আলাদা রকম সুখবর। এমন জয় দেখলে মনে হয় দল এখনও সামর্থ্য হারায়নি, শুধু সঠিক পরিকল্পনা আর আত্মবিশ্বাস দরকার। প্রবাসে বসেও ওই ম্যাচের হাইলাইটস দেখে মনে হচ্ছিল চট্টগ্রামের গ্যালারিতে বসে আছি। চা হাতে নিয়ে প্রতিটা উইকেট দেখার যে উত্তেজনা, সেটা শব্দে বলার মতো না।
আমার ব্যক্তিগত মত হলো, টুর্নামেন্ট ভিত্তিক এসব ওঠানামা স্বাভাবিক। টি২০ সিরিজের ব্যর্থতা থাকলেও ওয়ানডে ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখেই বোঝা যায় যে দলটির ভেতরে সম্ভাবনা আছে। বিশ্বকাপ কিংবা বড় কোনো টুর্নামেন্টের আগে যদি এই ভুলগুলোকে শোধরে নেওয়া যায়, তাহলেই আবার আমরা সেই পুরনো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাব। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও ভালো খেলবে দল, আর আমরা যারা প্রবাসে আছি, তারাও একই আবেগে দেশের ক্রিকেটকে সাপোর্ট করে যাব।
Top comments (0)