Banglanet

Pranto Krim
Pranto Krim

Posted on

বাংলাদেশের নগর পরিবেশে দূষণ ও জলবায়ু ঝুঁকি নিয়ে নতুন পর্যবেক্ষণ

ঢাকার সাম্প্রতিক নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে পরিবেশগত চাপ ক্রমেই বাড়ছে, বিশেষ করে ধানমন্ডি, মিরপুর ও গুলশানের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ২০২৫ সালের শুরুতে বিশেষজ্ঞদের মতে নগর বায়ু মানের অবনতি এখন আর মৌসুমি সমস্যা নয়, বরং সারাবছরই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। শীতকালে কুয়াশা ও ধুলো মিলে বায়ুদূষণ আরও ঘন হয়, যা অনেকের জন্য শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা সৃষ্টি করছে। আলহামদুলিল্লাহ, সচেতনতা বাড়ছে, তবে সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক গবেষণায় উল্লেখ করছেন যে শহরের পুরোনো পরিবহনের ধোঁয়া, নির্মাণসাইটের ধুলা, এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা মিলেই বায়ুর মানকে দ্রুত খারাপ করছে। বিশেষ করে রাস্তার পাশে চলমান নির্মাণকাজে ধুলা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায় আশেপাশের মানুষের স্বাস্থ্যে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়ছে। ধানমন্ডি লেকে সকালে হাঁটতে যাওয়া অনেকেই বলছেন যে আগের মতো স্বচ্ছ বাতাস আর পাওয়া যায় না, চোখে ও গলায় জ্বালা অনুভব হয়। এই বাস্তবতা শুধু ঢাকাতেই নয়, চট্টগ্রাম ও খুলনা মতো বড় শহরেও দেখা যাচ্ছে।

পানি দূষণও সমান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরীর ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথ না হওয়ায় বর্ষাকালে নগরজল ও নদীর সংস্পর্শে দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে রাস্তার পাশে জমে থাকা পানি দ্রুত নোংরা হয়ে যায়, যা শিশুদের জন্য অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করে। অনেক বাসিন্দা বলছেন যে নিজেদের বাড়ির কাছের ড্রেন থেকে আসা গন্ধ এখন সারাবছরই সমস্যা করে, বিশেষ করে সন্ধ্যার দিকে। ইনশাআল্লাহ, উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা প্রকল্প চলছে, তবে এগুলোর কার্যকারিতা সময়ই বলে দেবে।

নিজস্ব অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে সচেতনতা বাড়লেও দৈনন্দিন জীবনযাপনে পরিবেশবান্ধব অভ্যাস খুব বেশি ছড়িয়ে পড়েনি। ধানমন্ডির রাস্তায় আমি প্রায়ই দেখি কেউ কেউ গাড়ি থেকে প্লাস্টিক বোতল বা খাবারের প্যাকেট রাস্তায় ফেলে দেন। অন্যদিকে আবার অনেকে পরিবেশ সচেতনতার অংশ হিসেবে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার শুরু করেছেন, যা মাশাআল্লাহ ভালো উদ্যোগ। পানি ও বায়ুর মান উন্নত করতে হলে ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারি নীতি পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়াই এখন সবচেয়ে জরুরি।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পরিবেশ পরিস্থিতি উন্নতির সুযোগ থাকলেও তাৎক্ষণিক মনোযোগ ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়া বাস্তব পরিবর্তন সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে শহরের বায়ু ও পানি দূষণ কমাতে সঠিক মনিটরিং, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার, এবং নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সবারই উচিত পরিবেশকে রক্ষা করা, কারণ এই ভূমিই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশ্রয়স্থল।

Top comments (0)