আজকে সকালে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে হঠাৎ ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। তখন আমার বয়স সাত কি আট হবে, আব্বু প্রথম আমাকে নামাজের নিয়ম শেখাতে শুরু করলেন। মনে আছে, অজু করার সময় কোন অঙ্গ কতবার ধুতে হবে সেটা মুখস্থ করতে অনেক কষ্ট হয়েছিলো। আব্বু বারবার ধৈর্য ধরে বুঝিয়ে দিতেন, কখনো বকা দিতেন না। আলহামদুলিল্লাহ, সেই শিক্ষাটা আজও মনে গেঁথে আছে।
এখন নিজের ছেলেকে নামাজ শেখাচ্ছি, ঠিক যেভাবে আব্বু আমাকে শিখিয়েছিলেন। প্রথমে সূরা ফাতিহা মুখস্থ করানো, তারপর রুকু সিজদার নিয়ম বোঝানো। ছেলে মাঝে মাঝে ভুল করে, কিন্তু আমি রাগ করি না। বরং মনে হয় এটাই তো শেখার প্রক্রিয়া। মাশাআল্লাহ, ও এখন জামাতে দাঁড়াতে পারে আমার পাশে।
নামাজের মধ্যে এক অন্যরকম প্রশান্তি আছে ভাই, যেটা বলে বোঝানো কঠিন। দিনের ব্যস্ততার মাঝে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেন এক ধরনের বিরতি দেয় মনকে। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই যেন সঠিক নিয়মে নামাজ আদায় করতে পারি এবং পরবর্তী প্রজন্মকেও শেখাতে পারি।
Top comments (0)