চট্টগ্রামের মানুষ হিসেবে বেশিরভাগ সময়ই আমি অনলাইনে কেনাকাটা করি, বিশেষ করে এখনকার দিনে যখন সবকিছুই হাতে হাতে পাওয়া যায়। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত আমার অভিজ্ঞতা বলছে, অনলাইনে পণ্যের দাম জিজ্ঞাসা করা অনেক সময় ঝামেলার হয়ে যায়। বিশেষ করে Facebook পেজ বা ছোটখাটো অনলাইন শপে বেশিরভাগ বিক্রেতাই ইনবক্সে দাম দিতে বলে। ভাই, একটা সাধারণ দাম জানতে গেলেই ইনবক্সে যেতে হবে কেন? এ কারণে মাঝে মাঝে মনে হয় গ্রাহককে যেন ইচ্ছে করেই ঝুলিয়ে রাখা হয়।
আমি সম্প্রতি একটি স্মার্টওয়াচ কেনার জন্য খোঁজ করছিলাম। Pathao ও Daraz এ তো দাম পরিষ্কারভাবেই লেখা থাকে, কিন্তু Facebook এর কিছু পেজে দাম জানতে মেসেজ দিলে উত্তর পেতে সময় লাগে। একবার তো দেখলাম, আমি দাম জিজ্ঞেস করার তিন ঘণ্টা পরে রিপ্লাই দিল। তারওপর আবার নানা ধরনের অফার দেখিয়ে নিজের সুবিধামত দাম বলছে। এতে করে সিদ্ধান্ত নিতে ঝামেলা হয় এবং মনে হয় স্বচ্ছতার অভাব আছে। আলহামদুলিল্লাহ, বড় বড় ব্র্যান্ড যেমন Samsung বা Xiaomi এর অফিসিয়াল পেজগুলোতে পরিষ্কার দাম থাকে, তাই সেগুলোর প্রতি বিশ্বাস বেশি।
আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করেছি, কিছু বিক্রেতা এমনভাবে বলে যে নাকি বাজারদর একটু সময়ে সময়ে ওঠানামা করে, তাই দাম লিখতে পারে না। ভাই, বুঝলাম বাজারদর পরিবর্তন হয়, কিন্তু অন্তত একটা রেঞ্জ তো লেখা যায়। এতে ক্রেতা হিসেবেও সুবিধা হতো। যে কেউ ব্যস্ত জীবনে কাজের ফাঁকে একটু দেখে নিতে চায় যে জিনিসের দাম কত, কিন্তু প্রতিটা পেজে গিয়ে ইনবক্স করলে তো সময়ই শেষ হয়ে যাবে। এই দিক দিয়ে Daraz বা বড় অনলাইন শপগুলো এখনো অনেক ভালো সার্ভিস দিচ্ছে।
সবশেষে, আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশে অনলাইন বিক্রিতে স্বচ্ছতা এখনো পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে যদি সবাই প্রকাশ্যে পণ্যের দাম লিখে দেয়, তাহলে গ্রাহকদের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে এবং বাজারটাও আরও পেশাদার হয়ে উঠবে। চট্টগ্রামের মানুষেরা সাধারণত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করে, তাই দাম লুকানোর অভ্যাসটা ধীরে ধীরে বাদ দিলে পুরো ই-কমার্স ইকোসিস্টেমই উপকৃত হবে। মাশাআল্লাহ, অনেক দোকান ইতিমধ্যে এই সংস্কৃতি শুরু করেছে, আশা করি সামনে আরও ভালো কিছু দেখব।
Top comments (0)