৮ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ঢাকা। সাম্প্রতিক সময়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার অগ্রগতি বিশ্বজুড়ে নতুন আলো ফেলেছে। গবেষকরা এখন নানা ক্ষেত্রে এমন সব আবিষ্কার সামনে আনছেন, যা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবেশকে এক নতুন পথে নিয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনকার গবেষণা ধারা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত এবং ফলপ্রসূ, আলহামদুলিল্লাহ এই অগ্রগতি মানবজাতির উপকারেই আসবে।
বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং জৈবপ্রযুক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো উল্লেখযোগ্য। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্র এমন সব মডেল তৈরি করছে যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় আরও সহজ করে তুলতে পারে। মোহাম্মদপুরে আমার এক পরিচিত ভাই আছেন, তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। তার কথায়, এখন অনেক চিকিৎসকই রোগীর রিপোর্ট বিশ্লেষণে সফটওয়্যার ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন, কারণ এতে সময় কম লাগে এবং ভুলের সম্ভাবনাও কম। তিনি বলছিলেন যে এই পরিবর্তন কয়েক বছর আগেও কল্পনা করা যেত না।
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণাতেও নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতের শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তি এবং বায়ুশক্তি আরও সাশ্রয়ী ও কার্যকর হতে পারে। গতবর্ষে ঢাকার বাইরে এক সফরে গিয়ে দেখেছি, অনেক বাড়িতে এখন সৌরপ্যানেল ব্যবহার বাড়ছে। গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি কমাতে এটি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখছে। গবেষকরা বলছেন, নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হলে এই খাতে আরও উন্নতি আসবে ইনশাআল্লাহ।
এদিকে খাদ্য প্রযুক্তি বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চলছে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন জীবাণুনাশক পদ্ধতি খাদ্যের মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। ঢাকার বাজারগুলোতে মাঝে মাঝে আমরা দেখি খাবারের মান নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে, তাই এই গবেষণাগুলো ভবিষ্যতে ভোক্তাদের জন্য আরও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবে। আমার নিজের ব্যবসায়ও মাঝে মাঝে খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করতে হয়, তাই এই ধরনের প্রযুক্তি বাজারে এলে উদ্যোক্তাদের জন্যও বড় সুবিধা হবে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বর্তমান সময়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার এই ধারাবাহিক অগ্রগতি ভবিষ্যৎ বিশ্বকে আরও উন্নত, নিরাপদ এবং মানবকল্যাণমূলক পথে নিয়ে যাচ্ছে। মাশাআল্লাহ এই আবিষ্কারগুলো আগামী বছরগুলোতে আরও বাস্তবসম্মত প্রয়োগে পরিণত হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
Top comments (0)