Banglanet

Phjsal Krim
Phjsal Krim

Posted on

বাসায় সহজভাবে সুন্দর পরিবেশ তৈরির ঘর সাজানোর টিপস

ঘর সাজানো আসলে অনেকটা নিজের মনের মত একটা শান্ত পরিবেশ তৈরি করা। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এর এই সময়টা ঘর গোছানোর জন্য বেশ ভালো, কারণ শীতের আমেজ এখনও আছে বলে ধুলো কম থাকে আর পরিষ্কার করতেও সুবিধা হয়। রাজশাহীতে আমি নিজে আইটি সাপোর্টের কাজ করি, তাই ঘরে ফিরে একটু শান্ত ও পরিপাটি পরিবেশ পেলে মাথা বেশ ঠান্ডা থাকে আলহামদুলিল্লাহ। তাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকেও কিছু টিপস শেয়ার করছি, ইনশাআল্লাহ এগুলো আপনাদের কাজে লাগবে।

প্রথমে যেটা খুব জরুরি তা হল অপ্রয়োজনীয় জিনিস কমানো। আমরা অনেক সময় ভাবি পরেও কাজে লাগবে, কিন্তু বাস্তবে ওগুলো শুধু জায়গা দখল করে রাখে। আমি নিজের ঘরে ছোটবেলা থেকে জমে থাকা কিছু পুরোনো বাক্স আর ভাঙা গ্যাজেট সরিয়ে দিতেই ঘরটা অনেক হালকা মনে হয়েছে। এতে শুধু জায়গাই খালি হয় না, ঘরের বাতাসও একটু ফ্রেশ লাগে। আপনি চাইলে পুরোনো জিনিসগুলো রিসাইকেল বা ডোনেটও করতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, আলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাজশাহীর বাসাগুলোতে সাধারণত দিনের বেলায় ভালো রোদ পাওয়া যায়, তাই জানালার সামনে ভারী পর্দা ব্যবহার না করাই ভালো। আমি নিজের রুমে হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করি, এতে সূর্যের আলো সুন্দরভাবে ঢুকে ঘরকে উজ্জ্বল করে। রাতে নরম আলোয় একটি টেবিল ল্যাম্প রাখলে ঘরটা আরামদায়ক লাগে। আলো বদলালেই ঘরের মুড পুরো পরিবর্তন হয়ে যায় এটা খুবই সত্য।

তৃতীয়ত, আসবাবপত্র সাজানোর ক্ষেত্রেও একটু পরিকল্পনা দরকার। বড় বড় ফার্নিচার সবসময় দেয়ালের গায়ে রাখলে মাঝখানের জায়গা খালি থাকে, আর চলাফেরা করতে সুবিধা হয়। আমি নিজের কাজের ডেস্কটা জানালার পাশে রেখেছি যাতে প্রাকৃতিক আলোতে কাজ করতে পারি। তাছাড়া একটা ছোট ইনডোর গাছ রাখলে ঘরটা মাশাআল্লাহ অনেক প্রাণবন্ত লাগে। এখন অনলাইনে Daraz বা স্থানীয় হাট বাজারে ছোট টব গাছ সহজেই পাওয়া যায়।

শেষে বলি, নিজের পছন্দ অনুযায়ী ঘরে ব্যক্তিগত ছোঁয়া যোগ করুন। যেমন আপনার প্রিয় ছবি, একটি সুন্দর ঘড়ি, বা রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী নকশিকাঁথা টানিয়ে রাখা। এগুলো কম খরচে ঘরকে আলাদা চরিত্র দেয়। ঘর সাজানোর সবচেয়ে বড় বিষয় হল আপনি যাতে নিজের ঘরেই প্রশান্তি অনুভব করেন। আর একটু সময় দিলে এবং মন দিয়ে করলে ঘর সাজানো সত্যিই আনন্দের কাজ হয়ে ওঠে, ইনশাআল্লাহ।

Top comments (0)