Banglanet

ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে আমার আশা এবং অভিজ্ঞতার গল্প

ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে সবার মতোই আমার উত্তেজনা সবসময়ই আলাদা। ছোটবেলা থেকে সিলেটে বেড়ে ওঠার কারণে ক্রিকেট আমাদের পরিবারের প্রায় প্রতিদিনের আলোচনার বিষয় ছিল। বিশেষ করে বিশ্বকাপ এলেই বাড়িতে অন্য রকম পরিবেশ তৈরি হতো। আজকালও সেই উচ্ছ্বাস আছে, যদিও এখন নিজের সন্তানের দেখভাল করতে হয় বলে সময়টা একটু ভিন্নভাবে কাটে। তারপরও সুযোগ পেলেই টিভির সামনে বসি, আলহামদুলিল্লাহ, ক্রিকেট তো আমাদের রক্তেই।

সম্প্রতি দেখছি সারা বাংলাদেশে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা আরও বেড়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সবাই মাঠে কী হতে পারে তা নিয়ে মতামত দিচ্ছে। কোন দল ফেভারিট, কার বোলিং ভালো, কে ব্যাটে চমক দেখাতে পারে এসব নিয়ে নানা কথা। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিশ্বকাপ মানেই অনিশ্চয়তার গল্প। যে দলই শক্তিশালী হোক, চাপের সময় সব বদলে যেতে পারে। বাংলাদেশ দলও আজকাল দারুণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ সামনে আরও ভালো কিছু দেখতে পারব।

আমি খেয়াল করি বিশ্বকাপ এলে আমাদের ঘরের পরিবেশও হাসিখুশি হয়ে যায়। আমার স্বামী আর শ্বশুর মিলে টিভির সামনে আড্ডা দেয়, আর আমি রান্নাঘর থেকে মাঝে মাঝে খিচুড়ির পাতিলে হাত চালাতে চালাতে উত্তেজিত হয়ে চোখ রাখি স্কোরের দিকে। আমাদের ছোট্ট শিশুকেও মাঝে মাঝে বলি যে দেখো, এটাই বাংলাদেশের খেলা, মাশাআল্লাহ সে রঙিন জার্সি দেখলে বেশ খুশি হয়। এই পুরো অনুভূতিটাই আমাদের পরিবারকে এক বিশেষ মুহূর্তে বেঁধে রাখে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে আমার সবচেয়ে বেশি আশা তাদের ধারাবাহিকতা নিয়ে। আজকাল তারা ফিটনেস, মানসিক শক্তি আর টেকনিক নিয়ে বেশ কাজ করছে বলে মনে হয়। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে এগুলোই আসল পার্থক্য তৈরি করে। আমাদের লাইনআপে তরুণ আর অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মিশেল আছে, যা সাধারণত দলকে শক্তি দেয়। তবে চাপটা সামলানোই মূল ব্যাপার, সেটা যে কোনো দলেই কঠিন।

সবশেষে বলতে চাই, বিশ্বকাপ শুধু খেলা নয়, একটা অনুভূতি। দেশের মানুষকে এক মুহূর্তে এক হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়। জয়ের আনন্দ যেমন ভোলার নয়, পরাজয়ও আমাদের অনেক কিছু শেখায়। তাই আমি সব সময়ই বলি, ফল যাই হোক, বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাশে থাকাটাই সবচেয়ে জরুরি। ইনশাআল্লাহ আমাদের দিন আরও ভালো হবে।

Top comments (0)