২২ জানুয়ারি ২০২৫ সকালে উত্তরা থেকে বের হয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে মনে পড়ল, ছোটবেলায় আব্বা আমাকে কত যত্ন করে নামাজের নিয়ম শিখিয়েছিলেন। তখন বুঝতাম না, এখন বুঝি নামাজের প্রতিটা ধাপের ভেতরে কত শান্তি লুকিয়ে আছে। আলহামদুলিল্লাহ, ইদানীং ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি নিয়ম মেনে দাঁড়াতে। বিশেষ করে নিয়ত ঠিকমতো করা, কিরাত পরিষ্কারভাবে পড়া এবং রুকু সেজদায় খুশু ধরে রাখা—এই বিষয়গুলো আমাকে ভেতরে ভেতরে স্থির করে। মসজিদের ইমাম সাহেবও মাঝে মাঝে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেন, যাতে সবাই সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে।
গত সপ্তাহে এক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বুঝলাম, অনেকেই নামাজ পড়েন, কিন্তু কিছু নিয়ম ঠিকমতো জানেন না। আমি তাকে বললাম, ইনশাআল্লাহ ধীরে ধীরে আয়ত্ত করলে নামাজ আরও সুন্দর হবে। আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিলাম সপ্তাহে অন্তত একদিন করে বসে মৌলিক নিয়মগুলো রিভিউ করব। মাশাআল্লাহ, এর ফলে নিজেদের মধ্যেও একটা ইতিবাচক পরিবর্তন অনুভব করছি। মনে হয়, জীবনের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক, নামাজের নিয়ম মেনে পড়লে মানসিক শান্তি মিলবেই।
আজ আবার ভাবছিলাম, আমাদের সবারই উচিত একটু সময় বের করে নামাজের প্রতিটি অংশের অর্থ ও তাৎপর্য বুঝে নেওয়া। এতে শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, ইবাদতের গভীরতাও বাড়ে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিয়ম মেনে, মনোযোগ দিয়ে নামাজ আদায় করার তাওফিক দিন। ইনশাআল্লাহ, সামনে আরও শিখব, আরও ভালোভাবে পালন করার চেষ্টা করব। ছোট একটা চেষ্টা থেকেও অনেক বড় পরিবর্তন শুরু হতে পারে।
Top comments (0)