৮ অক্টোবর ২০২৫, ঢাকা। সম্প্রতি দেশে গর্ভাবস্থার স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহরাঞ্চলে বিশেষত উত্তরা, গুলশান ও মিরপুর এলাকায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে পরিবারগুলো এখন বেশি আগ্রহী। গর্ভবতী মায়েদের নিয়মিত চিকিৎসক পরামর্শ, সুষম খাদ্যগ্রহণ এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখার গুরুত্ব নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চলছে।
অনেক পরিবারই এখন গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে বিবেচনা করছে। ডাক্তাররা বলছেন, এই সময়ে মায়েদের বিশ্রাম, পর্যাপ্ত পানি পান এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। উত্তরা এলাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তার জানিয়েছেন যে বর্তমানে বেশিরভাগ মায়েই নিয়মিত চেকআপ করাচ্ছেন, যা মা ও নবজাতকের সুস্থতার জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত। আলহামদুলিল্লাহ, এ ধরনের পরিবর্তন জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ঢাকার বাসিন্দা এক গৃহিণী তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানান যে প্রথম গর্ভধারণের সময় তিনি অনেক বিভ্রান্ত ছিলেন, তবে এখন অনলাইনে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্য নির্দেশিকা, হাসপাতালের ফোন পরামর্শ সেবা এবং পরিবার থেকে বাড়তি সহায়তা পাওয়ায় পরিস্থিতি আরও সহজ হয়েছে। তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ নিয়মিত পরীক্ষার কারণে এবার তার গর্ভাবস্থা আগের তুলনায় অনেক স্বস্তিদায়ক। এ ধরনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অন্য পরিবারগুলোকেও সচেতন হতে উৎসাহিত করছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, রক্তচাপজনিত জটিলতা এবং পুষ্টিহীনতা বাংলাদেশের অনেক মায়ের জন্য সাধারণ সমস্যা। তাই সঠিক সময়ে পরীক্ষা, প্রয়োজনে ওষুধ গ্রহণ, হালকা ব্যায়াম এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞরা মায়েদের পরামর্শ দিচ্ছেন যে যেকোনো শারীরিক অসুবিধা দেখা দিলে দেরি না করে নিকটস্থ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে গর্ভাবস্থার যত্ন নিয়ে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবা উভয়ই উন্নত হচ্ছে। পরিবার, চিকিৎসক এবং সমাজ একসঙ্গে কাজ করলে মা ও শিশুর সুস্থতা আরও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (0)