নাসিরাবাদে ঘর-সংসার সামলে নামাজের নিয়ম ঠিকভাবে মানা একটু চ্যালেঞ্জের মনে হলেও চেষ্টা করলে আসলে খুব কঠিন কিছু না। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত নিজের অভ্যাস আর আশেপাশের মানুষের অভিজ্ঞতা দেখে আমি বুঝেছি, নামাজ ঠিকমতো আদায় করতে হলে প্রথমেই নিয়তের বিষয়টা পরিষ্কার থাকা জরুরি। আমরা অনেক সময় তাড়াহুড়োতে নামাজ পড়ি, কিন্তু আল্লাহর কাছে মন থেকে নিবেদন থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ত ঠিক থাকলে বাকিটা সহজ লাগে, আলহামদুলিল্লাহ।
নামাজের সবচেয়ে মৌলিক নিয়মগুলোর মধ্যে আছে ওযু, কিবলামুখী হওয়া, শরীর-স্থানের পবিত্রতা বজায় রাখা এবং ঠিকমতো রুকু-সেজদা করা। আমি নিজে দেখেছি অনেক বোনেরা রান্নাঘরে কাজ করতে করতে একটু অসাবধানতায় পোশাকে নাপাকি লেগে গেলে সেটা খেয়াল করেন না। পরে নামাজে দাঁড়ানোর আগে পোশাক দেখে নেওয়া খুবই জরুরি। আরেকটা বিষয় হল, বাচ্চারা পাশে থাকলে মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়, কিন্তু তবুও চেষ্টা করি যেন প্রতিটি রুকু ও সেজদা ধীরে আর সঠিক ভঙ্গিতে করা হয়, ইনশাআল্লাহ।
চট্টগ্রামে বিশেষ করে মাগরিবের সময়ে আকাশের রং আর বাতাসের গন্ধ এত সুন্দর লাগে যে সেই সময় নামাজ পড়ার আলাদা একটা শান্তি পাই। আমি মাঝে মাঝে মনে করি, আমাদের এলাকার এশার আজানটা একটু আগে হলে ভালো হত, কারণ রাতে কাজগুলো সারতে সারতে কখনো ক্লান্তি চলে আসে। তারপরও চেষ্টা থাকে সময়ে সময়ে নামাজ আদায় করার। যারা কর্মব্যস্ত জীবনে আছেন, তাদের জন্য মোবাইলে আজানের রিমাইন্ডার রাখা বেশ কাজে দেয়। আমি নিজেও ফোনে একটি ইসলামি অ্যাপ ব্যবহার করি, যা সময়মতো মনে করিয়ে দেয়।
অনেকেই জানতে চান, নামাজের সময় ভুল হলে কী করা উচিত। সাধারণ ভুল যেমন রুকু ভুলে যাওয়া বা অতিরিক্ত রাকাত পড়ে ফেলা হলে সেজদে সাহু করা হয়। আমি প্রথম দিকে অনেকবার গুলিয়ে ফেলতাম, বিশেষ করে আসরের নামাজে। পরে একজন আপা আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন যে নামাজে মনোযোগ ধরে রাখলেই বেশিরভাগ ভুল এড়ানো যায়। এখনো ভুল হলে সেজদে সাহু করে নিই, আর মনে রাখি যে আল্লাহ ক্ষমাশীল, মাশাআল্লাহ।
সবশেষে বলব, নামাজের নিয়ম শেখা একটা চলমান প্রক্রিয়া। বয়স, পরিবেশ, দায়িত্ব সবকিছু অনুযায়ী আমাদের প্র্যাকটিস বদলাতে পারে, কিন্তু নিয়ম মেনে নিয়মিত নামাজ পড়ার চেষ্টা করলে আল্লাহর রহমত অবশ্যই নেমে আসে। আপনারা যদি নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, তাহলে আমাদের সবার জন্যই উপকারী হবে, ইনশাআল্লাহ।
Top comments (0)