খুলনা সিটি থেকে সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজার ঘুরে দেখছি, বিশেষ করে প্রতিদিন যেসব জিনিস কিনতে হয় তাদের দাম কীভাবে বদলাচ্ছে তা একটু খেয়াল করছি। আলহামদুলিল্লাহ, ব্যবসার কাজে প্রতিদিনই বের হতে হয়, সেই সঙ্গে বাজারের অবস্থা নিয়মিত দেখা হয়ে যায়। আজ ১৪ মার্চ ২০২৫, এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে পণ্যের দাম তুলনা করে কেনাকাটা করা এখন আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি।
সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখলাম নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে। উদাহরণ হিসেবে চাল, ডাল, তেল এবং সবজির কথা বলি। একই জিনিস খুলনার বিভিন্ন মার্কেটে গেলেই ভিন্ন দাম দেখা যায়। যেমন নিউমার্কেট আর খালিশপুর বাজারে চালের দামে প্রায়ই পার্থক্য থাকে। এক জায়গায় যে চাল ৬৫ টাকা কেজি, আরেক জায়গায় সেটাই ৭০ বা ৭২ টাকা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, কেউ যদি একটু খোঁজ নিয়ে কেনে, তাহলে মাস শেষে হিসাব করলে অন্তত কিছুটা সাশ্রয় অবশ্যই সম্ভব।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কথাও বলতে হয়। Daraz বা কিছু Facebook পেইজে মাঝে মাঝে অফার থাকে যা বাজার দরের চেয়ে কম। তবে অনলাইন দামের সঙ্গে দোকানের দাম তুলনা করতে গিয়ে দেখলাম সবসময় অনলাইন সুবিধাজনক না। অনেক সময় ডেলিভারি চার্জ যোগ হয়ে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু Pathao Food বা কিছু গ্রোসারি অ্যাপ মাঝে মাঝে ভালো ছাড় দেয়, বিশেষ করে উইকএন্ডে। নিজের ব্যবসার জন্য যখন একসঙ্গে অনেক জিনিস কিনতে হয়, তখন অনলাইন আর দোকানের দাম একসঙ্গে যাচাই করলেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।
অন্যদিকে, ইলেকট্রনিক্স পণ্যে তুলনাটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি একটি নতুন smartphone নিতে চেয়েছিলাম। Samsung আর iPhone দুটোর দামই দোকানভেদে আলাদা, আর অফারের কথাও আলাদা বলা হয়। মজার বিষয় হলো, গ্রাহক একটু দোকান ঘুরলেই অন্তত দুই থেকে তিন হাজার টাকা সহজেই কম দামে পেয়ে যেতে পারে। তাই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, দাম তুলনা করা সময়ের অপচয় নয়, বরং সঠিক বিনিয়োগের অংশ।
সব মিলিয়ে, বর্তমান সময়ে দাম তুলনা না করে কিছুই কেনা ঠিক নয়। পরিবার, ব্যবসা বা ব্যক্তিগত কেনাকাটা যাই হোক, একটু বাড়তি সময় দিয়ে তুলনা করলে সাশ্রয় তো হয়ই, পাশাপাশি মানসম্মত জিনিস পাওয়ার সুযোগও বাড়ে। আশা করি আমার এই আপডেটটা সবার উপকারে আসবে। সবাই দোয়া রাখবেন, আল্লাহ চাইলে সামনে আরও কিছু দরকারি তথ্য নিয়ে শেয়ার করবো।
Top comments (0)