৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, স্বাস্থ্য বিভাগ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন জীবনের চাপ, অনিশ্চয়তা এবং সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মানসিক চাপে ভুগছেন। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোতে এখন আগের তুলনায় বেশি মানুষ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, মানসিক স্বাস্থ্যকে আর লুকিয়ে রাখার বিষয় হিসেবে দেখা উচিত নয়, বরং শারীরিক অসুস্থতার মতোই গুরুত্ব দিতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, নিজের অনুভূতি প্রকাশ না করা, দীর্ঘদিন চাপ জমে থাকা এবং পরিবার বা কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়া মানসিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায়। বিভিন্ন ক্লিনিক ও অনলাইন কাউন্সেলিং সেবায় এখন আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ পরামর্শ নিচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ সচেতনতা আরও বাড়লে অনেকেই আগেভাগে চিকিৎসা নিতে পারবেন, যা বড় ধরনের মানসিক সংকট প্রতিরোধে সহায়ক হবে।
রংপুর অঞ্চলের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী জানান, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে টিকে থাকা এবং পরিবারকে সন্তুষ্ট রাখা অনেক সময় বড় চাপ তৈরি করে। এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন যে তিনি পড়ালেখার চাপের কারণে কয়েক মাস ধরে ঘুমের সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে একজন কাউন্সেলরের সাথে কথা বলার পর অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। একইভাবে এক বৃত্তি প্রার্থী জানান, নিয়মিত ধ্যান এবং পরিবারে খোলামেলা কথা বলার অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে তাকে সাহায্য করেছে, আলহামদুলিল্লাহ।
দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এখন আরও সহজলভ্য হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মানসিক অসুস্থতা লুকিয়ে রাখা বা অবহেলা করার বদলে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিজের পছন্দের কাজ করার অভ্যাস মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে বড় ভূমিকা রাখে।
সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, যুবসমাজের মধ্যে বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার আগ্রহ বাড়ছে, যা ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সামাজিক সহযোগিতা এবং সচেতনতা প্রচার বৃদ্ধি পেলে আগামী দিনে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার পথ আরও মজবুত হবে, ইনশাআল্লাহ।
Top comments (0)