সম্পর্ক নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ভাই-বোনই ফোরামে বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন। তাই ভাবলাম নিজের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমি নিজে ঢাকার সরকারি চাকরিজীবী, ব্যস্ততা তো আছেই, কিন্তু এর মাঝেও সম্পর্ক সামলানো কখনও কখনও বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়। তবে আলহামদুলিল্লাহ, সময়ের সাথে কিছু বিষয় শিখেছি যা ইনশাআল্লাহ অন্যদেরও কাজে লাগতে পারে।
প্রথমত, যোগাযোগের গুরুত্ব সত্যিই অনেক। দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরলেও সঙ্গীর সাথে পাঁচ মিনিট বসে কথা বলা সম্পর্ককে শান্ত রাখে। উদাহরণ হিসেবে বলি, কয়েক মাস আগে অফিসের কাজ নিয়ে মাথা এমন ব্যস্ত ছিল যে বাসায় ফিরে কথা বলাই প্রায় ভুলে যেতাম। এতে মনোমালিন্য তৈরি হচ্ছিল, পরে বুঝলাম আসলে আমি নিজেই দূরে সরে যাচ্ছিলাম। তারপর থেকে রাতে চা খেতে খেতে কিছুক্ষণ গল্প করি। মাশাআল্লাহ, এতে সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও কোমল হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, ছোটখাটো যত্ন অনেক বড় ফল দেয়। ধরুন, আপনি ব্যস্ত, তবু একটি ছোট বার্তা পাঠানো, বকশিসের মতো একটা চকলেট এনে দেয়া, কিংবা সপ্তাহান্তে একসাথে খিচুড়ি রান্না করা সম্পর্ককে উষ্ণ করে তোলে। আমার স্ত্রী বিরিয়ানি খুব পছন্দ করে, তাই মাঝে মাঝে অফিস থেকে ফেরার পথে ছোট্ট প্যাকেট নিয়ে যাই। কোনও বড় দামী জিনিস না, তবু ওর হাসিটা দেখলে মনে হয় সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেল।
তৃতীয়ত, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সম্মান দেওয়া খুব জরুরি। মতের অমিল হবেই, কিন্তু সেটা যেন ঝগড়ায় রূপ না নেয়। মনে রাখতে হবে দুজনেরই অনুভূতির মূল্য আছে। সম্প্রতি একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মত মিলছিল না, আমি উত্তেজিত হলে কিছু বলতে পারতাম, কিন্তু থেমে গেছি। পরে শান্তভাবে আলোচনা করায় দুজনই বুঝলাম আসলে সমস্যা খুব বড় কিছু ছিল না।
সবশেষে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একসাথে করা সম্পর্ককে শক্ত করে। ইনশাআল্লাহ জীবনে যা কিছুই করতে চান, সঙ্গীকে সেই আলোচনার অংশ বানান। এতে দুজনের মাঝে বিশ্বাস, নিরাপত্তা আর বন্ধন আরও গাঢ় হয়। সম্পর্ক কোনওদিনই একা একজনের প্রচেষ্টায় টেকে না, দুজনকেই চেষ্টা করতে হয়। সবাইকে দোয়া রইল, আল্লাহ যেন আমাদের সম্পর্কগুলোকে শান্তি ও ভালোবাসায় পূর্ণ রাখেন। ❤️
Top comments (0)