আমি সরকারি চাকরির ব্যস্ততার মাঝেও কিছুদিন ধরে নামাজের নিয়ম ঠিকভাবে শিখে নেয়ার চেষ্টা করছি। ঢাকা শহরের ট্রাফিক আর কাজের চাপ মিলিয়ে প্রতিদিনই একটা দৌড়ের মাঝে থাকতে হয়, কিন্তু তারপরও অন্তরে একটা তাগিদ অনুভব করি যেন নামাজটা সঠিকভাবে আদায় করি। আলহামদুলিল্লাহ, কয়েকদিন আগে মাগরিবের পর মসজিদের এক চাচার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়, উনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাকে রুকু আর সেজদার সঠিক পদ্ধতি বুঝিয়ে দিলেন। আমার মনে হলো, চাইলে ব্যস্ততার মাঝেও শেখা যায়, শুধু ইচ্ছেটা থাকতে হয়।
তারপর থেকে আমি প্রতিদিন অফিসের পর ধানমন্ডির মসজিদে কয়েক মিনিট সময় নিয়ে অনুশীলন করছি। প্রথম দিকে দাঁড়ানোর ভঙ্গি থেকে নিয়ে কিরাত পড়া পর্যন্ত সবকিছুই যেন একটু নার্ভাস লাগত, কিন্তু এখন ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে, মাশাআল্লাহ। নামাজের নিয়ম মেনে শান্তভাবে প্রতিটি রাকাত আদায় করলে যে মনটা কতটা স্বস্তি পায়, সেটা আমি নতুন করে অনুভব করছি। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও ভালোভাবে শেখার ইচ্ছা রয়েছে।
এই অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করার পেছনে আমার উদ্দেশ্য একটাই, যদি আমার মতো আর কেউ দ্বিধায় থাকে, তবে একটু সাহস নিয়ে কাছের কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারেন। আমরা অনেক সময় ভাবি যে হয়তো অন্যরা কী মনে করবে, কিন্তু বাস্তবে মানুষ খুব সহানুভূতিশীলভাবেই শেখাতে আগ্রহী থাকে। নামাজ শুধু একটি ইবাদতই নয়, বরং প্রতিদিনের জীবনের চাপ থেকে মনকে শান্ত করারও একটা সুন্দর উপায়। আলহামদুলিল্লাহ, এই উপলব্ধিটাই আমাকে আরও নিয়মিত হতে অনুপ্রাণিত করছে।
Top comments (0)