ঢাকার গুলশানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েব ডিজাইন শেখার প্রতি তরুণদের আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। ১২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনলাইন কমিউনিটিতে দেখা যাচ্ছে, নতুন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে পেশাজীবীরাও নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে এই ক্ষেত্রটিকে বেছে নিচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, ঘরে বসে শেখা, ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ এবং ভবিষ্যতে স্থিতিশীল ক্যারিয়ার গঠনের সম্ভাবনাই মূল আকর্ষণ।
বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এখন ওয়েব ডিজাইন কোর্সের ভর্তিচাহিদা আগের তুলনায় অনেক বেশি। কিছু প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অনলাইন ব্যাচের সংখ্যা বাড়াতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের চাপ সামলানোর জন্য। এক প্রশিক্ষক জানান, গুলশান, ধানমন্ডি এবং মিরপুরের অনেক শিক্ষার্থী সপ্তাহান্তে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন। তাদের ধারণা, আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশে ডিজিটাল সেবা আরও বিস্তৃত হবে ইনশাআল্লাহ, ফলে দক্ষ ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা আরও বাড়বে।
ওয়েব ডিজাইনের ভিত্তি শেখার জন্য বেশ কয়েকটি মূল প্রযুক্তি জানা জরুরি। HTML একটি ভিত্তিমূলক ভাষা। CSS ওয়েব পেজের রূপ-রঙ নির্ধারণ করে। JavaScript ব্যবহার করা হয় ইন্টারঅ্যাকটিভ ফিচার তৈরিতে। এসব বিষয় অনলাইনে সহজেই শেখা যায়, বিশেষ করে YouTube টিউটোরিয়াল এবং বিভিন্ন ফ্রি লার্নিং প্ল্যাটফর্মে। এ কারণে অনেকেই প্রথম দিকে অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই বাড়িতে বসে নিজের গতিতে শেখা শুরু করছেন।
একজন গুলশানের শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তিনি রাতে অফিসের কাজ শেষ করে ওয়েব ডিজাইন শিখছেন এবং ধীরে ধীরে নিজের প্রথম পোর্টফোলিও সাইট তৈরি করছেন। তার মতে, শেখার প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে প্রতিদিন চোখে পড়ার মতো উন্নতি হওয়া, যা তাকে আরও উৎসাহিত করছে। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন ইনশাআল্লাহ, এবং প্রয়োজনে Daraz বা স্থানীয় ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজও করতে চান।
সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রযুক্তি বাজারে ওয়েব ডিজাইন একটি শক্তিশালী ক্যারিয়ার বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। সঠিক দিকনির্দেশনা, নিয়মিত অনুশীলন এবং মানসম্মত শেখার রিসোর্স ব্যবহার করতে পারলে নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য এই ক্ষেত্রে সফল হওয়া কঠিন নয়। মাশাআল্লাহ, তরুণদের এই ইতিবাচক আগ্রহ দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই অনেক বিশেষজ্ঞের মত।
Top comments (0)