মিরপুরে ছোট ব্যবসা নিয়ে এখন অনেকেই নতুনভাবে ভাবছেন, বিশেষ করে ঘরেই বসে কিছু শুরু করার সুযোগ বাড়ছে। আজকাল মানুষের চাহিদা বদলেছে, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন Facebook ও Pathao Food এর মাধ্যমে ঘরে তৈরি পণ্যের বাজার অনেক বড় হয়েছে। তাই এনিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কিছু বিশ্লেষণ শেয়ার করছি যাতে নতুন উদ্যোক্তারা উপকার পান ইনশাআল্লাহ।
প্রথমেই বলতে হয়, ঘরে বসে হোমমেড ফুড ব্যবসা এখন মিরপুর, পল্লবী, শেওড়াপাড়া এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। আমার এক আত্মীয় মিরপুর ১১ থেকে ঘরে তৈরি পরোটা, বিরিয়ানি ও স্ন্যাক্স বিক্রি শুরু করেছিলেন। শুরুতে দিনে মাত্র কয়েকটি অর্ডার আসত, কিন্তু Facebook গ্রুপ ব্যবহার করে ধীরে ধীরে গ্রাহক বেড়েছে। এখানে মূল বিষয় হচ্ছে গুণগত মান ধরে রাখা ও দ্রুত ডেলিভারি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। Pathao ও অন্যান্য রাইডশেয়ার সার্ভিস ব্যবহার করায় মোটামুটি কম খরচে ডেলিভারি দেয়া যায়।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ হলো ছোট স্কেলের অনলাইন রিটেইল ব্যবসা। অনেকেই Daraz এবং নিজের Facebook পেইজ ব্যবহার করে পোশাক, কসমেটিকস, হিজাব, বাচ্চাদের জিনিসপত্র বিক্রি করছেন। এসবের জন্য বড় স্টক রাখা লাগেনা। পণ্য অর্ডার আসার পরেই সংগ্রহ করে পাঠানো যায় বলে ঝুঁকি কম। আমিও কিছুদিন আগে আমার স্ত্রীর সাথে মিলে ছোট পরিসরে বাচ্চাদের অ্যাক্সেসরিজ নিয়ে একটি অনলাইন পেইজ খুলেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, ধীরে ধীরে গ্রাহক বেড়েছে, যদিও প্রচার-প্রচারণার কাজটি নিয়মিত করতে হয়।
এছাড়া দক্ষতা-নির্ভর ব্যবসার ক্ষেত্রও বাড়ছে। যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, কিংবা অনলাইন টিউটরিং। ইন্টারনেট সংযোগ ভালো থাকলে মিরপুর এলাকায় এসব কাজ করা খুবই সহজ। অনেক তরুণ-তরুণী ঘরে বসেই ক্লায়েন্ট পাচ্ছেন। তবে এখানে মানসম্মত কাজ ও সময়ের প্রতি প্রতিশ্রুতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, প্রথম কয়েক মাস আয় কম হলেও ধৈর্য রাখলে কাজ বাড়তে থাকে।
সবশেষে বলা যায়, ছোট ব্যবসা শুরু করতে বড় পুঁজি লাগে না, বরং পরিকল্পনা, ধৈর্য, আর গ্রাহকের বিশ্বাসই আসল শক্তি। বাচ্চা সামলানো নতুন মায়েদের জন্যও ঘরে বসে ছোট ব্যবসা ভালো সুযোগ হতে পারে, বিশেষ করে যদি সময় অনুযায়ী কাজ সাজিয়ে নেয়া যায়। মিরপুর এলাকায় বাজার বড়, মানুষ নতুন কিছু চেষ্টা করতে আগ্রহী, তাই সঠিক দিকনির্দেশনা ও চেষ্টা থাকলে ছোট ব্যবসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ভালো ইনশাআল্লাহ। 😊
Top comments (0)