বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে আজকাল অনেকেই একটু দোটানায় থাকে, বিশেষ করে আমাদের ঢাকা শহরের ব্যস্ত জীবনে। ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ এর এই সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হয়, সম্পর্কটা সুন্দরভাবে টিকিয়ে রাখতে হলে শুরু থেকেই দুজনের মধ্যে খোলামেলা কথা বলা খুব জরুরি। আমি মিরপুরে থাকি, এখানে নতুন দম্পতিদের জীবন কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়। অনেকেই প্রেম থেকে বিয়ে করে, আবার অনেকেই পরিবার থেকে ঠিক করে বিয়ে করেন, কিন্তু দুটো ক্ষেত্রেই সম্মান, ধৈর্য আর বোঝাপড়া ছাড়া বিয়ে টেকে না।
আমার এক ছোট বোনের বিয়ে হয়েছিল গত বছর। শুরুতে ওরা দুজনই খুব ভালোভাবেই চলছিল, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু পরে দেখি, ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি বড় হয়ে যাচ্ছিল কারণ কেউই নিজের অনুভূতি ঠিকমত প্রকাশ করছিল না। পরে আমি ওদের বললাম, প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় একে অপরকে শুনতে হবে। মিরপুরের জীবনে ব্যস্ততা থাকলেও রাতে এক কাপ চা নিয়ে একটু কথা বললে সম্পর্ক মজবুত হয়। ইনশাআল্লাহ, এখন তাদের সম্পর্ক আগের তুলনায় অনেক ভালো।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে পারিবারিক দায়িত্ব ভাগাভাগি করা। বিয়ের পর আমাদের সমাজে প্রায়ই সব দায় মেয়েদের কাঁধে পড়ে, বিশেষ করে রান্নাবান্না বা ঘরের কাজকর্ম। কিন্তু আমি যেসব দম্পতিকে সুখে থাকতে দেখেছি, তারা দুজনেই একটা টিমের মতো কাজ করে। কেউ Pathao ধরে বাজার আনল, কেউ খিচুড়ি রান্না করল, কেউ আবার বাচ্চাকে দেখাশোনা করল। এতে বাড়িতে অকারণ চাপ কমে যায়, আর ভালোবাসার জায়গাটা বাড়ে।
সবশেষে, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা খুব জরুরি। সম্পর্কটা যেন টিকে থাকে, তাতে ধৈর্য দরকার, দোয়া দরকার। ঝগড়া হবেই, মতের অমিল থাকবেই, কিন্তু সম্মান যেন কখনও না কমে। নিজের সঙ্গীকে ছোট করে কথা বলা কিংবা তুলনা করা সম্পর্ককে দুর্বল করে দেয়। বরং একে অপরকে উৎসাহ দিন, যেমন আমি আমার এক বান্ধবীকে বলেছিলাম, দুজন যদি পরস্পরকে সমর্থন করেন, তাহলে ছোটবড় সমস্যাগুলো সহজেই সামলে ফেলা যায় মাশাআল্লাহ।
আশা করি এই পরামর্শগুলো কারও কাজে লাগবে। বিয়ে শুধু দুইজন মানুষের মিলন না, দুইটা পরিবারেরও বন্ধন। তাই বিয়ের আগে ভেবে নিন, আর বিয়ের পরে যত্ন নিন। 😊
Top comments (0)