আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আজকে একটু বিস্তারিত লিখতে চাই ই-কমার্স নিয়ে, বিশেষ করে যারা প্রবাস থেকে বাংলাদেশে কিছু করতে চান তাদের জন্য। আমি নিজে গত দুই বছর ধরে এই সেক্টরে কাজ করছি, তাই কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। অনেকেই মনে করেন প্রবাসে থেকে ব্যবসা করা সম্ভব না, কিন্তু আজকাল প্রযুক্তির কল্যাণে এটা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
প্রথমে বলি প্ল্যাটফর্ম বাছাইয়ের কথা। বাংলাদেশে এখন Daraz, Evaly এর পরে নতুন অনেক প্ল্যাটফর্ম এসেছে। তবে আমার মতে নিজের Facebook page দিয়ে শুরু করাটা সবচেয়ে ভালো। কারণ এখানে কোনো কমিশন দিতে হয় না এবং সরাসরি কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করা যায়। আমি নিজে প্রথমে একটা ছোট পেইজ খুলেছিলাম হ্যান্ডমেইড জুয়েলারি বিক্রির জন্য। দেশে আমার ভাবি সব কিছু দেখাশোনা করেন, আর আমি এখান থেকে মার্কেটিং আর অর্ডার ম্যানেজমেন্ট করি।
পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। bKash আর Nagad এখন এত সহজ করে দিয়েছে যে কাস্টমার মুহূর্তের মধ্যে টাকা পাঠাতে পারে। প্রবাস থেকে আপনি সহজেই bKash এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন অথবা দেশে কাউকে দিয়ে ম্যানেজ করাতে পারবেন। ডেলিভারির জন্য Pathao, Paperfly, Steadfast এই কোম্পানিগুলো বেশ ভালো সার্ভিস দেয়। আলহামদুলিল্লাহ এখন ঢাকার বাইরেও দ্রুত ডেলিভারি সম্ভব হচ্ছে।
একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রোডাক্ট সিলেকশন। আমি দেখেছি যে ইউনিক প্রোডাক্ট যেগুলো সহজে পাওয়া যায় না, সেগুলোর চাহিদা বেশি। যেমন বিদেশি স্কিনকেয়ার, অর্গানিক খাবার, বাচ্চাদের এডুকেশনাল টয় এসব বেশ ভালো চলে। তবে প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি, তাই আপনার সার্ভিস কোয়ালিটি ভালো রাখতে হবে।
শেষে বলবো, ধৈর্য রাখুন। প্রথম ছয় মাস লাভ না হতে পারে, কিন্তু লেগে থাকলে ইনশাআল্লাহ ফল পাবেন। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, প্রথম তিন মাস মাত্র ১৫ থেকে ২০টা অর্ডার পেতাম। এখন মাশাআল্লাহ মাসে ২০০ এর বেশি অর্ডার হয়। কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন, সাহায্য করার চেষ্টা করবো। 😊
Top comments (0)