Banglanet

বাংলাদেশের নগর পরিবেশে দূষণ বৃদ্ধি এবং টেকসই সমাধানের প্রয়োজন

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নগর পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষ করে ঢাকা শহরে বায়ুদূষণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা সব থেকে বেশি চোখে পড়ছে। ১৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে দেশের বিভিন্ন বিজ্ঞানী দলের প্রকাশিত পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে শুষ্ক মৌসুমে ধুলা ও যানবাহনের ধোঁয়ার কারণে শহরের বাতাস আরও ঘন হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদে জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ সচেতনতা আগের চেয়ে বাড়লেও বাস্তব পদক্ষেপ নিতে এখনও আরও গতি প্রয়োজন।

নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনে এই দূষণের প্রভাব বেশ স্পষ্ট। আমি নিজেও মিরপুর থেকে কাজের জন্য উত্তরা এবং মোহাম্মদপুরের দিকে যাতায়াত করি, আর অনেক সময় দেখি সকালে রাস্তায় বের হলেই চোখে জ্বালা শুরু হয়। বিশেষ করে ব্যস্ত সড়কে দাঁড়ালে নিঃশ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়। স্থানীয়দের অনেকে বলেন যে সাম্প্রতিক সময়ে শিশুরা বেশি কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে। ডাক্তাররাও সতর্ক করছেন যে পরিবেশগত ঝুঁকি কমাতে হলে এখনই সচেতন হওয়া জরুরি।

এর পাশাপাশি প্লাস্টিক বর্জ্য দেশের নদী ও খালগুলোকে ক্রমেই দখল করছে। বর্ষার আগে আগে বৃষ্টির পানি জমে থাকা কিংবা ড্রেন বন্ধ হওয়া খুব সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে। মিরপুরের পাশের কয়েকটি এলাকায় আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি যে বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় রাস্তার কোণেই মানুষ প্লাস্টিক বা বাজারের প্যাকেট ফেলে রাখে। এতে শুধু দুর্গন্ধই নয়, পরিবেশের উপরও বড় ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কিছু দল মাঝে মাঝে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালালেও স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য আরও বড় উদ্যোগ প্রয়োজন।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে টেকসই পরিবেশ রক্ষা করতে হলে নাগরিক এবং প্রশাসন উভয়ের যৌথ পদক্ষেপ প্রয়োজন। বর্জ্য পুনর্ব্যবহার, পানি সংরক্ষণ, সবুজায়ন বৃদ্ধি এবং পরিষ্কার জ্বালানির প্রচলন ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইনশাআল্লাহ সচেতনতা বাড়লে এবং আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে এই পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব।

পরিশেষে বলা যায় যে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সকলের। প্রশাসন আইন প্রয়োগ করবে, কিন্তু সাধারণ মানুষেরও দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তবে ঢাকা এবং দেশের অন্য বড় শহরগুলোকে আরও বাসযোগ্য করে তোলা সম্পূর্ণ সম্ভব। মাশাআল্লাহ দেশের তরুণ প্রজন্ম এখন পরিবেশ নিয়ে আরও সক্রিয়, আর তাদের এই উদ্যোগ আগামী দিনগুলোতে বড় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।

Top comments (0)