মিরপুরে বড় হওয়ার কারণে আমি ছোটবেলা থেকেই মসজিদের আজান শুনে নামাজ পড়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সময় ধরে ঠিকমতো নামাজ আদায় করা সবসময় সহজ হয় না। তাই আজ 28 ফেব্রুয়ারি 2025 অনুযায়ী নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু টিপস শেয়ার করছি, যা ইনশাআল্লাহ অনেকের কাজে লাগতে পারে। নামাজ আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক মজবুত করে, তাই নিয়মগুলি জানা এবং ঠিকভাবে পালন করা খুবই জরুরি।
প্রথমত, নামাজ শুরু করার আগে নিয়ত পরিষ্কার রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ত শুধু মুখে বলা নয়, মনের সত্যিকারের ইচ্ছা। আমি নিজে লক্ষ্য করেছি যে ব্যস্ত দিনে যদি আগে থেকেই মনকে একটু শান্ত করি, তাহলে মনোযোগ নিয়ে নামাজ পড়া সহজ হয়। ওযু করার সময়ও ধীরে ধীরে প্রত্যেক ফরজ অঙ্গ ধোয়া উচিত। আলহামদুলিল্লাহ, ওযুর পরপরই নামাজ পড়লে হৃদয়ে এক ধরনের প্রশান্তি আসে।
দ্বিতীয়ত, কিবলাহ ঠিকমতো নির্ধারণ করা দরকার। মিরপুরে আমরা সাধারণত মসজিদে গেলে ইমাম সাহেবের অনুসরণ করি। কিন্তু বাসায় বা অফিসে নামাজ পড়তে হলে মোবাইলের কিবলাহ ফাইন্ডার অ্যাপ ব্যবহার করতে পারি। সেজদা করতে গিয়ে কপাল ও নাক দুটোই মাটিতে স্পর্শ করানো উচিত, কারণ সেজদাই নামাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমি যখন সেজদা করি, তখন মনে হয় সমস্ত দুশ্চিন্তা আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে দিলাম।
তৃতীয়ত, তাড়াহুড়ো করে রুকু বা সেজদা না করে প্রতিটি অবস্থানে অন্তত কয়েক সেকেন্ড স্থির থাকা উচিত। আমাদের অনেক সময় অফিসের কাজ বা পথের ভিড়ের কারণে দ্রুত নামাজ পড়ে ফেলার প্রবণতা থাকে, কিন্তু এতে মনোযোগ নষ্ট হয়। আমি সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি, যদি প্রতিটি রুকুতে তিনবার সুবহানারাব্বিয়াল আজিম এবং সেজদায় তিনবার সুবহানারাব্বিয়াল আ'লা পড়ি, তাহলে মন আরও বেশি কেন্দ্রীভূত থাকে।
শেষ কথা হল, নামাজ নিয়মিত রাখাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আমি প্রতিদিন ফজরের পর এক কাপ চা খাওয়ার আগে নামাজ সম্পন্ন করা অভ্যাস করেছি। এতে দিনটা বরকতময়ভাবে শুরু হয়। ইনশাআল্লাহ, আপনারাও ধীরে ধীরে ছোট ছোট নিয়ম মেনে নামাজকে জীবনের অংশ বানাতে পারবেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিয়মিত নামাজের তাওফিক দিন। 🌿
Top comments (0)