ইসলামী জীবনযাপন মূলত অন্তরের প্রশান্তি আর আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে চলার চেষ্টা। আজ ৬ জানুয়ারি ২০২৫ এ দাঁড়িয়ে আমরা দেখি, জীবন অনেক ব্যস্ত হয়ে গেছে। তারপরও একটু আন্তরিকতা আর অভ্যাস তৈরি করতে পারলেই প্রতিদিনের আমল সহজ হয়ে যায়। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় অনেক সময় দেখা যায়, সকালে কাজে যাওয়ার আগে মানুষজন দ্রুত সময়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও নিয়মিত কিছু ইবাদত হয়ে ওঠে না। তাই জীবনে ছোট ছোট পরিবর্তন অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে, ইনশাআল্লাহ।
একটা গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো প্রতিদিনের আমল লিখে রাখা। যেমন ফজরের নামাজের পরে পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে কোরআন তিলাওয়াত করা বা ছোট সূরা পড়া। আমি ব্যক্তিগতভাবে গত কয়েক মাস ধরে ফোনের নোটসে ছোট একটা তালিকা বানিয়ে রেখেছি। এতে দেখি, প্রতিদিন ন্যূনতম আমল করার একটা মানসিক চালিকা শক্তি তৈরি হয়। অনেক ভাই বলেন তারা ব্যস্ততার কারণে ভুলে যান, কিন্তু যদি বেলা শুরু হতেই মনে করিয়ে দেওয়ার মত ছোট রুটিন থাকে, তাহলে নামাজ, জিকির কিংবা কিছু সাদকাহ করা সহজ হয়ে ওঠে।
আরেকটা অভিজ্ঞতা হলো পরিবারের পরিবেশ। আগ্রাবাদের বাসায় শীতের সকালে আম্মা যখন কোরআন তিলাওয়াত শুরু করেন, ঘরের ভেতর একটা প্রশান্তি ছড়ায়। এতে নিজেরও মন ভালো হয়ে যায়, আলহামদুলিল্লাহ। পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দিলে ঘরের পরিবেশ সুন্দর হয়। বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই ইসলামী আচরণ শেখানো খুব জরুরি, যেমন খাবারের দোয়া, সালাম দেয়া, বড়দের সম্মান করা। এগুলো শেখাতে সময় খুব বেশি লাগে না, কিন্তু প্রভাব অনেক।
এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিও বরকতপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা যায়। এখন বিভিন্ন ইসলামিক অ্যাপ আছে, যেখানে নামাজের সময়, দোয়া, কোরআন শেখার সুযোগ পাওয়া যায়। যারা আগ্রাবাদ থেকে অফিসে যান, তারা পথ চলতে চলতেই এসব অ্যাপ ব্যবহার করে জিকির শুনতে পারেন। এতে রাস্তায় সময়ও নষ্ট হয় না, বরং মনে সুকোমলতা আসে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ইবাদত কোনও চাপ মনে না হয়; বরং ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত করাই উত্তম।
সবশেষে মনে রাখা দরকার, ইসলামী জীবনযাপন মানে নিখুঁত হওয়া নয়, বরং প্রতিদিন একটু একটু করে উন্নতির চেষ্টা করা। ভুল হলে হতাশ না হয়ে তওবা করে আবার শুরু করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে রাখুন আর আমল গ্রহণ করুন, আমীন।
Top comments (0)