বাংলাদেশের বিনোদন জগতে সাম্প্রতিক সময়ে মিউজিক ভিডিওর জনপ্রিয়তা আবারও চোখে পড়ার মতোভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে রাজশাহীর অনেক তরুণ শিল্পী এখন নিজেদের স্টুডিও সেটআপ করে ভিডিও তৈরি করছেন, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরালও হচ্ছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে প্রকাশিত ঈদ স্পেশাল অ্যালবাম ২০২৪ আলহামদুলিল্লাহ ভালোই সাড়া ফেলেছে, আর সেই অ্যালবাম ঘিরে নতুন নতুন ভিডিও নির্মাণের আগ্রহও বেড়েছে। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এখনকার ভিডিওগুলোতে আগের তুলনায় অনেক বেশি সৃজনশীলতা দেখা যায়, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলতে গেলে, রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকায় আমি নিজেও কয়েকজন তরুণ নির্মাতার শুটিং সেট দেখেছি। তারা সাধারণ ক্যামেরার সাথে iPhone বা ছোট স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করেই চমৎকার ভিডিও তৈরি করছেন। একটি দলের সঙ্গে কথা বললে তারা জানালেন, গানটির গল্পকে সামনে রেখে লোকেশন নির্বাচন থেকে শুরু করে পোশাক এবং লাইটিং পর্যন্ত সব কিছুতেই তারা বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাদের কথায়, এখন দর্শকরা শুধু গান শুনতে চান না, বরং গানের সাথে মানানসই ভিজ্যুয়ালও চান, ইনশাআল্লাহ তাই তারা চেষ্টা করছেন আরও উন্নত কিছু উপহার দিতে।
সম্প্রতি YouTube এবং Facebook এ যে ধরনের ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, তাতে বোঝা যায় আবেগনির্ভর গল্পভিত্তিক মিউজিক ভিডিও বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে। যেমন একটি নির্মাতা দম্পতি জানালেন, তারা রাজশাহীর পদ্মা নদীর পাড়ে একটি ভালোবাসার গল্প নিয়ে শুট করেছেন, যেন গানের অনুভূতিটা সঠিকভাবে ফুটে ওঠে। দর্শকরাও তাদের কমেন্টে লিখছেন, প্রকৃতি আর কাহিনির সমন্বয় সত্যিই মন ছুঁয়ে যায় মাশাআল্লাহ। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ের শিল্পীরাও নতুন উদ্যম পাচ্ছেন, কারণ তাদের কাজ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত।
অনেকেই বলছেন, আগের চেয়ে এখন দর্শকরা মানসম্মত সাউন্ড, রং ও গল্পের সমন্বয় খুঁজে পান। Daraz বা Pathao Food এর মতো ব্র্যান্ডও অনেক সময় প্রচারের জন্য জনপ্রিয় মিউজিক ভিডিওতে যুক্ত হয়, যা শিল্পীদের জন্য একটি ভালো সুযোগ। রাজশাহীর তরুণ মিউজিক নির্মাতারা বিশ্বাস করেন, এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারলে খুব শিগগিরই বাংলাদেশের বাইরে থেকেও আরও বড় দর্শকশ্রেণী যুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ। নতুন বছরের শুরুতেই মিউজিক ভিডিওর এই ব্যস্ততাকে তারা ইতিবাচক সংকেত হিসেবেই দেখছেন।
Top comments (0)