অনেক ছোটবেলা থেকেই নামাজ পড়ার অভ্যাস দেখতাম বাড়ির সবাইকে, কিন্তু ঠিকভাবে নামাজের নিয়মগুলো শেখার যাত্রা শুরু করি কয়েক বছর আগে। আলহামদুলিল্লাহ, ৫ মে ২০২৫ পর্যন্ত আসতে আসতে মনে হয় নামাজ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রশান্তির জায়গা হয়ে গেছে। রংপুরে আমার বাড়ির পাশেই একটা ছোট মসজিদ আছে, সেখানে ইমাম সাহেব খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে নামাজের নিয়ম বুঝাতেন। কোন সময় কি পড়তে হয়, কার সাথে কার তাকবির মিলে যায়, কতখানি খুশু খুজু রাখা জরুরি এসব শুনতে শুনতে নামাজের প্রতি একধরনের টান তৈরি হয়।
নামাজের নিয়ম শিখতে গিয়ে বুঝলাম এটা শুধু দাঁড়িয়ে কিছু শব্দ পড়ে শেষ করার বিষয় নয়। এর প্রতিটা ধাপে গভীর অর্থ আছে। যেমন দাঁড়িয়ে তাকবির দানার পর আল্লাহু আকবার বলে হাত বেঁধে যে সুরা ফাতিহা পড়া হয়, সেখানে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর এক বিশেষ অনুভূতি থাকে। এরপর রুকু, সিজদাহ এমনভাবে সাজানো যে পুরো শরীর যেন আল্লাহর সামনে বিনম্র হয়ে যায়। মাশাআল্লাহ, যখনই সঠিক নিয়মে সব ধাপ শেষ করতে পারি, মনে হয় মনটা অনেক হালকা হয়ে গেল।
আমার নিজের জীবনে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখি ফজরের নামাজ নিয়মিত ধরার পর। সকালে ঠান্ডা বাতাস, নামাজের সময়কার শান্ত পরিবেশ, আর সিজদার মুহূর্তটুকু পুরো দিনের মুডটাই পালটে দেয়। মাঝে মাঝে Pathao দিয়ে কোথাও যেতে হলেও সময়টা এমনভাবে ঠিক করি যেন নামাজ বাদ না যায়। আমার কয়েকজন বন্ধু আছে যারা আগে নিয়মিত ছিল না, তাদেরও বলেছি যে আস্তে আস্তে শুরু করো ইনশাআল্লাহ অভ্যাস হয়ে যাবে। কেউ কেউ বলেছে শুরুতে অসুবিধা হয়, কিন্তু এক সপ্তাহ চালিয়ে গেলে সহজ লাগে।
নামাজের ছোট ছোট নিয়মগুলো, যেমন জামাতে দাঁড়ালে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো, ইমামের অনুসরণে রুকু সিজদা করা, তাশাহহুদের পরে দরুদ আর দোয়া পড়া, এগুলো নিয়মিত করতে করতে জীবনে একটা শৃঙ্খলা তৈরি হয়। আমার মা বলতেন যে নামাজ শুধু ইবাদত নয়, এটা মানুষকে সময়মতো কাজ শেখায়। এখন বুঝি, সত্যি তিনি ঠিকই বলতেন। ইনশাআল্লাহ সামনে আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে শিখতে চাই, যাতে প্রতিটা নামাজ আরও সুন্দরভাবে আদায় করতে পারি। 🕌
Top comments (0)