ঢালিউড নিয়ে এই সময়টা বেশ সরগরম মনে হচ্ছে ভাইয়েরা। বিশেষ করে সম্প্রতি মাত্র নয় দিন আগে মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের চলচ্চিত্র “অন্তরাত্মা” নিয়ে সবার মাঝেই নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। মাশাআল্লাহ, সিনেমাটি নিয়ে রংপুর থেকে শুরু করে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ নানা জায়গায় বন্ধুদের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া শুনছি। আমি নিজেও গত সপ্তাহে Pathao ধরে মিরপুরের একটি হলে গিয়ে দেখেছি। গল্প নিয়ে খুব বড় দাবি করব না, তবে শাকিব খানের স্ক্রিন প্রেজেন্স এখনও আগের মতই শক্তিশালী লেগেছে। ইনশাআল্লাহ, এভাবে হলে আমাদের বাণিজ্যিক সিনেমার প্রতি মানুষের আগ্রহ আবার ফিরবে।
এই সময়টা ঢালিউডের জন্য একটা বদলের মুহূর্ত বললেও ভুল হবে না। চারপাশে OTT প্ল্যাটফর্মের এত কড়া প্রতিযোগিতা, তার মাঝেও হলে দর্শক টানাটা সহজ কাজ নয়। “অন্তরাত্মা”র মুক্তির পর আমি লক্ষ্য করেছি আমার নিজের রংপুরের কয়েকজন মামা-ভাইও বলেছে যে আবার হলে যাওয়ার মজা পাচ্ছে। তারা বলছিল, আগে যেখানে শুধুই YouTube বা Facebook ভিডিওতেই সীমাবদ্ধ ছিল, এখন নতুন সিনেমা নিয়ে আড্ডায় ফিরেছে ভিন্ন রকম চাঞ্চল্য। আলহামদুলিল্লাহ, এমন পরিবর্তন দেখতে ভালোই লাগে।
গত মাসে একুশে বইমেলা ২০২৫ হওয়ার পর সাংস্কৃতিক চর্চা কিছুটা বাড়তি প্রাণ পেয়েছিল, আর তার ধারাবাহিকতায় আমার মনে হয়েছে সিনেমা হলেও দর্শক একটু বেশি আগ্রহী। বইমেলা থেকে ফেরার পথে অনেকেই আমাকে বলেছে যে সাংস্কৃতিক পরিবেশটা যদি নিয়মিত চাঙা থাকে, তাহলে সিনেমার বাজারও আবার স্থিতিশীল হবে। ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে, ঢালিউডের সামনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে ধারাবাহিক ভালো কনটেন্ট তৈরি করা, যাতে দর্শক বারবার হলে যেতে আগ্রহ পায়।
সবশেষে, ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদী হতে চাই। তরুণ নির্মাতারা যদি সাহসী বিষয়বস্তু নিয়ে এগিয়ে আসে, আর সিনিয়র তারকারাও নিজেদের ফিট রেখে কাজ করেন, তাহলে ঢালিউড আবার শক্ত অবস্থানে ফিরতে পারবে। আপনি যদি “অন্তরাত্মা” দেখে থাকেন, ভাই, তাহলে আপনার রিভিউটাও শুনতে চাই। চলুন আলোচনা করি, আমাদের ঢালিউড আগামী দিনে কোন পথে এগোলে ভালো হবে। 😊
Top comments (0)