৩ নভেম্বর ২০২৫ এর এই সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে পরিবেশ বিষয়টা আর শুধু বিজ্ঞানীদের আলোচনার বিষয় নেই, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ হয়ে গেছে। বিশেষ করে খুলনা সিটির মানুষ হিসেবে আমি মনে করি জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব আমরা খুব কাছ থেকে দেখি। বর্ষায় হঠাৎ অতিরিক্ত বৃষ্টি, আবার গরমের সময় তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া এখন আর নতুন কিছু নয়। আলহামদুলিল্লাহ অনেক কিছু সামলে নিতে পারছি, কিন্তু পরিবেশের এই পরিবর্তন ভবিষ্যতে কী নিয়ে আসছে তা ভাবলে সত্যিই চিন্তা বাড়ে।
আমার বাসার আশেপাশে কয়েক বছর ধরেই দেখছি গাছপালা কমে যাচ্ছে। নতুন নতুন বিল্ডিং উঠছে, ফলে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাচ্ছে। আগে সন্ধ্যায় রাস্তায় হাঁটলে একটা ঠান্ডা বাতাস লাগতো, এখন গরমের দিনে যেন পুরো এলাকা আরও গরম হয়ে থাকে। ইনশাআল্লাহ শহর পরিকল্পনায় পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বাড়লে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে, কিন্তু সেই পরিবর্তন কবে আসবে বলা মুশকিল। অনেক ভাইদের দেখি Pathao বা মোটরবাইক ব্যবহার ছাড়া আর উপায় নেই, ফলে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ছে।
সম্প্রতি দেখলাম আমাদের এলাকায় কয়েকজন তরুণ মিলে ছোট একটি কমিউনিটি গার্ডেন করার চেষ্টা করছে। মাশাআল্লাহ তাদের উদ্যোগ ভালো লাগলো। আমি নিজেও বাসার বারান্দায় কিছু গাছ লাগানোর চেষ্টা করি, যেমন তুলসী, লেবু আর মানিপ্ল্যান্ট। এগুলো খুব বড় কিছু না, কিন্তু পরিবেশের জন্য সামান্য অবদান হলেও মনে শান্তি লাগে। আর বাচ্চাদেরও শেখানো যায় কীভাবে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হয়। নিজেরাই পানি দিচ্ছে, গাছ বড় হতে দেখে আনন্দ পাচ্ছে।
বর্তমানে বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও পরিবেশ গবেষকেরা বলছেন, আমাদের মতো উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই পরিবেশ পরিকল্পনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুলনার মানুষ হিসেবে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের বিষয়টা খুব পরিচিত, তাই পরিবেশ নিয়ে সচেতন হওয়া আসলেই জরুরি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। পরিবেশের ওপর চাপ কমাতে এখনই যদি আমরা ছোট ছোট উদ্যোগ নেই, যেমন প্লাস্টিক কম ব্যবহার, গাছ লাগানো, পানি সাশ্রয় করা, তবে ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতের জন্য কিছুটা হলেও ভালো পরিবেশ রেখে যেতে পারব।
মামা-ভাইরা, আপনাদের এলাকায় পরিবেশ নিয়ে কী কী পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন? আপনারা কি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন বা নিতে চান? আলোচনা হলে সবারই উপকার হবে। 🌿
Top comments (0)