ঢাকার গুলশানে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক আলোচনায় সবচেয়ে বেশি ঘুরে ফিরে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চলমান কর্মসূচি নিয়ে নাগরিকদের মতামত। আজকাল বেশ কয়েকটি দল তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য নিয়মিত সভা, মতবিনিময় ও মাঠপর্যায়ের যোগাযোগ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও নির্দিষ্ট তারিখ বা ঘটনার কথা স্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না, তবে রাজনৈতিক পরিবেশে কর্মসূচির ঘনঘটা অনেকটাই অনুভূত হচ্ছে। রাজধানীর রাস্তাঘাটে চলার সময়ই বোঝা যায়, দলগুলো নিজেদের সমর্থক সক্রিয় রাখতে চেষ্টা করছে।
আমি নিজে গুলশান দুই নম্বর সড়ক দিয়ে অফিসে যাওয়ার পথে কয়েকবার দেখেছি বিভিন্ন দলের প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে। কেউ কেউ পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে দলের সাম্প্রতিক পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা, অর্থনৈতিক চাপ ও চলমান প্রশাসনিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছেন। আলহামদুলিল্লাহ, বেশিরভাগ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে এবং নাগরিকদের দৈনন্দিন চলাফেরায় বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে না বলে অনেকে মনে করছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রমে এখন আগের তুলনায় ডিজিটাল প্রচারণাও বেশ চোখে পড়ে। Facebook বা YouTube লাইভের মাধ্যমে মতবিনিময় অনুষ্ঠান, অনলাইন আলোচনা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কিছু দল অ্যাপভিত্তিক প্রচার কৌশলও ব্যবহার করছে। গুলশানের এক চায়ের দোকানে বসে কয়েক দিন আগে কিছু তরুণকে আলোচনা করতে শুনলাম যে অনলাইন প্রচারের কারণে এখন বাড়িতে বসেই অনেক তথ্য পাওয়া যায়, যা আগে সম্ভব ছিল না। মাশাআল্লাহ প্রযুক্তির এই ব্যবহার রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করছে বলেই মনে হয়।
তবে সবকিছুর মাঝেও নাগরিকদের মধ্যে কিছু উদ্বেগও রয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনী সময় ঘনিয়ে এলে কর্মসূচিগুলো কখনো কখনো অতিরিক্ত উত্তেজনা তৈরি করতে পারে কিনা, তা নিয়ে অনেকেই ভাবছেন। এক চাচা বলছিলেন যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশকে ভালো দিকেই এগিয়ে নিতে পারে, ইনশাআল্লাহ। শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা এবং জনদুর্ভোগ কমানোর বিষয়গুলো রাজনৈতিক দলগুলো আরও গুরুত্ব দেবে বলে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।
সামগ্রিকভাবে দেখা যায়, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে এবং দলগুলো নিজেদের সমর্থন বেস ধরে রাখার পাশাপাশি নতুন ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করছে। নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা, এসব কার্যক্রম যেন শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।
Top comments (0)