২ জানুয়ারি ২০২৫, গাজীপুর থেকে — সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ বেড়েছে, বাংলাদেশেও তার স্পষ্ট প্রভাব দেখা যাচ্ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্ম এখন মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট যোগাযোগ এবং গ্রহ-উপগ্রহ নিয়ে গবেষণাকে ক্যারিয়ার হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে। আলহামদুলিল্লাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গবেষণা কেন্দ্রগুলোতেও এই বিষয়গুলো নিয়ে আগের তুলনায় আরও বেশি আলোচনা হচ্ছে। বিজ্ঞান ক্যাম্প, অনলাইন লেকচার এবং ইউটিউবের বিভিন্ন শিক্ষা মূলক চ্যানেলের কারণে মানুষ এখন মহাকাশ সম্পর্কে অনেক সহজে তথ্য পাচ্ছে।
মহাকাশ নিয়ে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধির পেছনে একটি বড় কারণ হল পৃথিবীর বাইরে জীবনের সম্ভাবনা, নতুন গ্রহ আবিষ্কার এবং মহাকাশ প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতি। সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীর কক্ষপথে নতুন স্যাটেলাইট নিক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্ব বিভিন্ন খাতে উন্নতি করছে। যোগাযোগ, আবহাওয়া পূর্বাভাস, কৃষি তথ্য ব্যবস্থাপনা—সব ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ভূমিকা ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশও বিগত কয়েক বছরে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে, যা দেশের যোগাযোগ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করছে।
ব্যক্তিগতভাবে, গাজীপুরের নতুন জেনারেশনের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ দেখে আমি বেশ আশাবাদী। অনেক সময় দেখা যায়, সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ বা গ্রহের উজ্জ্বলতা দেখে এলাকার ছেলেমেয়েরা প্রশ্ন করে তারা কিভাবে তৈরি হয়, কেন তারা উজ্জ্বল, মহাকাশে কীভাবে গবেষণা করা হয়। ইনশাআল্লাহ, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ থাকলে ভবিষ্যতে এখান থেকেই অনেক মেধাবী মহাকাশ গবেষক তৈরি হবে। Pathao বা Daraz-এর মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এখন প্রচুর বিজ্ঞান কিট ও টেলিস্কোপ পাওয়া যায়, যা শেখার সুযোগকে আরও সহজ করে তুলছে।
মহাকাশ বিজ্ঞান শুধু জ্যোতির্বিজ্ঞানেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি প্রকৌশল, রোবোটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং পদার্থবিজ্ঞানের সমন্বয়ে একটি বিশাল ক্ষেত্র। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়টি এখন অনেক বেশি আকর্ষণীয়। অনেকেই বাড়ির ছাদ থেকে সহজ টেলিস্কোপ দিয়ে রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণ করে নিজেদের মধ্যে গবেষণার প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। আমিও মাঝে মাঝে মিরপুর বা গাজীপুরের খোলা আকাশে দাঁড়িয়ে তারা পর্যবেক্ষণ করি, আর মনে হয়—এই মহাবিশ্বে মানুষের জানার কত কিছুই না বাকি রয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে, মহাকাশ বিজ্ঞান আমাদের ভবিষ্যতের অন্যতম বড় নির্ধারক ক্ষেত্র হয়ে উঠছে। গবেষণা, প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশও যদি এই ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে পারে, তবে দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। মাশাআল্লাহ, বর্তমানে যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, তা ভবিষ্যতের জন্য বেশ ইতিবাচক সংকেত বলে মনে হয়।
Top comments (0)