ভাইরা, আজকে ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ এর এই ব্যস্ত সময়ে একটা বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করল। প্রেম আর বিয়ে নিয়ে পারিবারিক সমস্যাগুলো এখনো অনেক পরিবারের জন্য বড় একটা চিন্তার কারণ। আমাদের দেশে পরিবার মানেই আবেগ, দায়িত্ব, সামাজিক চাপ আর সম্মানের মিশ্রণ। তাই নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে চাইলে অনেক সময় বাধা আসাটাই স্বাভাবিক। আমিও একই ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি, তাই ভাবলাম অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করি, হয়তো কারো কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ।
আমার এক আত্মীয়ের ঘটনা বলি। ওর সাথে মেয়েটার সম্পর্ক প্রায় তিন বছর চলেছিল। দুইজনই ঢাকা শহরে পড়াশোনা করত। কিন্তু যখন বিয়ের প্রসঙ্গ উঠল, তখন দুই পরিবারের মতপার্থক্য দেখা দিল। ছেলের মা চান ছেলেটা আগে চাকরি পাক, তারপর বিয়ের কথা ভাববে। অন্যদিকে মেয়ের পরিবার চায় দ্রুত সিদ্ধান্ত হোক। এর মধ্যে কিছু আত্মীয় এমন মন্তব্য করতে থাকল যা পরিবেশ আরও খারাপ করে দেয়। বাংলাদেশের অনেক পরিবারেই এই বাড়তি সামাজিক চাপটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
আমার নিজের ক্ষেত্রেও বিয়ের সময় কিছুটা চাপ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, এখন পরিস্থিতি ভালো, কিন্তু তখন দুই পক্ষের প্রত্যাশা মেলাতে কষ্ট হচ্ছিল। আমি বুঝেছি, অনেক সময় আমরা নিজের অনুভূতির কথা বলতে পারি না বলেই সমস্যা বড় হয়ে যায়। আমি তখন শান্তভাবে দুই পক্ষের সাথে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলেছিলাম। তাদের বুঝিয়েছিলাম আমার সিদ্ধান্তের পেছনে কারণগুলো কি। এতে ভুল বোঝাবুঝি কিছুটা কমে। পরিবারের সাথে ধৈর্য ধরে কথা বলা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এখনকার দিনে, বিশেষ করে আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রেম আর বিয়ের ব্যাপারে ধারণাটা আরও বাস্তবমুখী হয়ে উঠছে। কিন্তু অনেক পরিবারই এখনো পুরনো চিন্তাভাবনা ধরে রেখেছেন। ভাইরা, আমার মতে সবার আগে দরকার সম্মান আর সহানুভূতি। পরিবারকে দূরে ঠেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া কখনোই ভাল সমাধান না। বরং ধীরে ধীরে বিষয়টা বুঝিয়ে বলা, প্রমাণ করা যে সিদ্ধান্তটা ভেবে নেওয়া হয়েছে, এতে পরিবারও অনেক সময় রাজি হয়ে যায়। তাছাড়া দুজন মানুষের একসাথে থাকার ইচ্ছা যদি সত্যিই দৃঢ় হয়, তাহলে ধৈর্যই সবচেয়ে বড় শক্তি। মাশাআল্লাহ অনেকেই এভাবে সমস্যা সমাধান করতে পেরেছে।
শেষ কথা, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে শুধু প্রেম নয়, পরিবারকেও সাথে নেওয়া জরুরি। পারিবারিক সমস্যা আসবেই, কিন্তু সেগুলোকে কিভাবে সামাল দেবেন সেটাই আসল বিষয়। আপনারা যদি এমন কোন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যান, চাইলে এখানে শেয়ার করতে পারেন। একে অন্যের গল্প শুনলে অনেক সময় নিজের সমস্যার সমাধানও বের হয়ে আসে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (0)