ভাইরা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এর দিকে এসে মনে হচ্ছে বাজারের অবস্থা আগের চেয়ে আরও বেশি ওঠানামা করছে। তাই আজ একটা আপডেট দিচ্ছি পণ্যের দাম তুলনা নিয়ে। রংপুরে থাকি, তাই এখানে যেটা দেখি সেটা অনেক সময় ঢাকার থেকে একটু আলাদা হয়। তবে সামগ্রিকভাবে দেশের বাজারে এখন যেভাবে দাম বাড়া–কমার ধারা চলছে, সেটা নিয়ে সবাই চিন্তায় আছে। আমি নিজেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নোট করে রাখছি, যেন নিজের বাজেটটা সামলাতে সুবিধা হয়।
সম্প্রতি আমি রংপুরের বড়বাজার আর জাহাজ কোম্পানির মোড়ের কয়েকটা দোকান ঘুরে দেখলাম। চাল, ডাল, তেল এগুলোর দামে বেশ পার্থক্য আছে। উদাহরণ হিসেবে বলি, মাঝারি মানের সয়াবিন তেলের দাম এক দোকানে লিটারপ্রতি যেটা দেখলাম, আরেক দোকানে তার চেয়ে ৮ থেকে ১০ টাকা কম। একইভাবে চালের ক্ষেত্রেও ৫ থেকে ৭ টাকার পার্থক্য মিলছে। আলহামদুলিল্লাহ, একটু ঘুরলেই সাশ্রয়ী দাম পাওয়া যায়, কিন্তু সবার তো সময় বা শক্তি থাকে না বারবার দোকান পাল্টানোর। তাই দাম তুলনা এখন সত্যিই জরুরি হয়ে গেছে।
ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কিছুদিন আগে একটা নতুন স্মার্টফোন দেখছিলাম, Samsung আর Xiaomi এর কয়েকটা মডেল। মজার বিষয় হচ্ছে, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন Daraz আর দোকানের দামের মধ্যে অনেক সময় ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকার পার্থক্য পাওয়া যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ যারা এখন ফোন কিনতে চাইছেন, তাদের জন্য পরামর্শ হবে আগে অনলাইন আর অফলাইন দুই জায়গার দাম মিলিয়ে নেয়া। রংপুরে বিশেষ করে গ্রান্ড বাজার আর শাপলা মোড়ে কয়েকটা দোকান আছে যারা তুলনামূলক কম নেয়।
শেষে একটা বিষয় বলতে চাই, এখন যেহেতু বিভিন্ন অ্যাপ আর ওয়েবসাইটে দাম তুলনা করা যায়, তাই সময় বাঁচাতে এই সুবিধা ব্যবহার করা উচিত। bKash আর Pathao Food এর মতো সেবাতেও মাঝে মাঝে অফার থাকে, যেগুলো পণ্য বা খাবারের মূল্য তুলনায় অনেক কাজে আসে। বাজারের এই ওঠানামার সময়টাতে আমাদের সবারই দরকার সচেতন থাকা। রোজকার খরচ বাড়লেও পরিকল্পনা করে চললে অনেক কিছু সামলানো যায়। আল্লাহ ভরসা, ইনশাআল্লাহ সামনে আরও ভালো অবস্থায় ফিরবে।
Top comments (0)