বাংলাদেশে টিভি শো নিয়ে আগ্রহ আগের চেয়ে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আলোচনার পরিমাণ চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। ৯ জুলাই ২০২৫ তারিখে বসে টিভির রেটিং, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া আর দর্শকদের অভ্যাস নিয়ে খোঁজ নিলে দেখা যায় অনেকেই এখন পরিবার নিয়ে সন্ধ্যার সময় সিরিয়াল বা রিয়েলিটি শো দেখে দিন শেষ করতে পছন্দ করেন। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বিনোদন জগত আগের তুলনায় অনেক বেশি পেশাদার হয়ে উঠছে, আর দর্শকও আগের চেয়ে বেশি সচেতন।
গত মাসে মুক্তি পাওয়া তাণ্ডব সিনেমার পর থেকে দেশের মানুষের মধ্যে গল্পভিত্তিক কনটেন্টের প্রতি আগ্রহ আরও বেড়েছে। যদিও এটি একটি সিনেমা, তবুও এর সাফল্য অনেক টিভি নির্মাতাকে দীর্ঘমেয়াদি ধারাবাহিক ও শক্তিশালী ইউনিভার্স তৈরির বিষয়ে নতুনভাবে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেছে। মাশাআল্লাহ দেশীয় কনটেন্টের এই অগ্রগতি দেখে ভালোই লাগে, কারণ আগে যেখানে বিদেশি শো দেখে অভ্যস্ত ছিলাম, এখন স্থানীয় নির্মাণেও দর্শক ভরসা খুঁজে পাচ্ছেন।
রাজশাহী সিটিতে ফ্রিল্যান্সিং করতে করতে নিজের কাজের ফাঁকে আমিও বিভিন্ন টিভি শো দেখি। বিশেষ করে রাতের খবর বা কোনো বিনোদনমূলক টকশো দেখে দিনের ক্লান্তি অনেকটাই কাটে। Pathao বা bKash পেমেন্টের কাজ করতে করতে ইউটিউবে হাইলাইটস দেখার অভ্যাসও তৈরি হয়েছে। অনেক সময় চায়ের দোকানে বসেও ভাইদের সঙ্গে কোন শো বেশি জনপ্রিয় বা কোন চরিত্র ভালো লাগছে তা নিয়ে আলোচনা জমে ওঠে। ইনশাআল্লাহ আমাদের এখানকার আড্ডার সংস্কৃতি এমনভাবেই চলতে থাকবে।
দর্শকদের পছন্দ এখন আগের চেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময়। কেউ পরিবারকেন্দ্রিক নাটক পছন্দ করেন, কেউবা গান বা প্রতিযোগিতামূলক রিয়েলিটি শো নিয়মিত অনুসরণ করেন। অনেকে আবার শুধু হাস্যরসের শো দেখে দিনশেষের মানসিক চাপ কমান। আর অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কারণে যে কেউ নিজের সুবিধামতো সময়ে শো দেখে ফেলতে পারছেন, যা পুরো শিল্পে নতুন গতি এনে দিয়েছে। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আরও মানসম্পন্ন টিভি প্রোগ্রাম তৈরি হবে, যাতে দেশীয় গল্প বিশ্বমঞ্চেও জায়গা করে নিতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের টিভি শোগুলো নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে। দর্শকের চাহিদা বাড়ছে, নির্মাতারা চেষ্টা করছেন আরও উন্নত কনটেন্ট দিতে, আর আলোচনাও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রাণবন্ত। আশা করি এই ইতিবাচক ধারা সামনে আরও শক্তভাবে এগিয়ে যাবে।
Top comments (0)