Banglanet

রাজশাহীতে আমার বিয়ের প্ল্যানিংয়ের ঝামেলা আর মজার অভিজ্ঞতা

১৪ আগস্ট ২০২৫, রাজশাহী সিটিতে বসে ভাবলাম, নিজের বিয়ের প্ল্যানিং নিয়ে একটা গল্প শেয়ার করি। ব্যাপারটা আসলে যতটা সহজ মনে হয়, ততটা সহজ না। আমি ফ্রিল্যান্সিং করি, তাই কাজ আর বিয়ের প্রস্তুতি একসাথে সামলানো মাঝে মাঝে বেশ চাপ হয়ে যায়। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ, ধীরে ধীরে সবকিছু গুছিয়ে উঠছি। এই কয়েক সপ্তাহে যা যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

প্রথমেই হল ভেন্যু ঠিক করা। রাজশাহীর বিয়ের মৌসুমে হলে পাওয়া মানে রীতিমতো যুদ্ধ। আমি আর পরিবার প্রথমে বোয়ালিয়া এলাকার কয়েকটা কমিউনিটি সেন্টার ঘুরলাম। একটা জায়গা পছন্দও হলো, কিন্তু তারিখ ফাঁকা নেই। পরে ইনশাআল্লাহ ভাগ্য ভালো, সাহেববাজারের এক চাচার পরিচয়ে আরেকটা হলে তারিখ ম্যানেজ করা গেল। তখন মনে হচ্ছিল, মাশাআল্লাহ, একটা বড় চিন্তা কমল।

তারপর শুরু হলো খাবারের মেনু নিয়ে আলোচনা। আমাদের এলাকায় সাধারণত কাবাব, বিরিয়ানি, সাদা ভাত, রেজালা এসবই জনপ্রিয়। কিন্তু আম্মু বলল, একটু স্পেশাল আইটেম রাখতে হবে। শেষমেশ ঠিক হলো মাটন বিরিয়ানি আর সাথে ফুচকা কর্নার। ফুচকার আইডিয়া শুনে বন্ধুরা তো খুশি। রাজশাহীর অনেক বিয়েতে এখন এমন মিক্সড আইটেম রাখা বেশ ট্রেন্ড হয়ে গেছে। আমিও ভাবলাম, যাক ভালই হলো, সবাই খুশি থাকবে।

বিয়ের ফটোগ্রাফি আর সাজসজ্জার দায়িত্ব নিল এক পরিচিত টিম। তারা বলল, এখনকার দিনে যতটা ন্যাচারাল লুক রাখা যায়, ততটাই ভালো। আমিও তাদের সঙ্গে রাজশাহীর পদ্মা নদীর পাশে প্রি-ওয়েডিং শুটের জন্য একটা দিন ঠিক করছি। আশা করি আবহাওয়া ভালো থাকবে, ইনশাআল্লাহ। ফটোগ্রাফির খরচ দেখে প্রথমে একটু চমকে গেলেও, পরে বুঝলাম স্মৃতি তৈরি করতে হলে কিছু ইনভেস্ট করতেই হয়।

সবশেষে, বিয়ের আমন্ত্রণের প্রস্তুতি। এখন তো অনেকেই Facebook ইভেন্ট বা Messenger এ আমন্ত্রণ পাঠায়। কিন্তু আম্মু বললেন, কিছু মানুষকে অবশ্যই কার্ড দিয়ে যেতে হবে। তাই কার্ড প্রিন্ট করেছি, আর ধীরে ধীরে আত্মীয়দের বাসায় গিয়ে দিচ্ছি। হাঁটাচলা করতে করতে মাঝে মাঝে ক্লান্ত লাগে, কিন্তু সম্পর্ক রক্ষা করতে এগুলো করতেই হয়। সব মিলিয়ে, বিয়ের প্ল্যানিংয়ের মধ্যে যেমন চাপ আছে, তেমনি আনন্দও আছে। আলহামদুলিল্লাহ, প্রতিটা দিনই নতুন কিছু শিখছি।

Top comments (0)