বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ছোট ব্যবসার সুযোগ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। শহরকেন্দ্রিক বাজারে যেমন গুলশান বা বনানীর মতো এলাকায় নতুন উদ্যোক্তাদের উপস্থিতি স্পষ্টভাবে দেখা যায়, তেমনি দেশের বিভিন্ন জেলাতেও নতুন উদ্যোগ গড়ে উঠছে। বিশেষ করে ডিজিটাল সেবা, খাবার ডেলিভারি এবং অনলাইন বিক্রয়মূলক কাজগুলোতে তরুণরা সাহসিকতার সঙ্গে নামছে। অনেকের মতে, প্রযুক্তির সহজলভ্যতা এই প্রবণতাকে আরও গতিশীল করেছে।
আজকাল অনেকেই বাড়িতে বসে ছোট আকারের খাদ্যসংক্রান্ত ব্যবসা শুরু করছেন। বনানীতে আমার এক পরিচিত আপু আছেন, যিনি ঘরে তৈরি পরোটা, চিকেন রোল এবং বিরিয়ানি বিক্রি শুরু করেছিলেন। শুরুতে তিনি দিনে হাতে গোনা কয়েকটি অর্ডার পেতেন, কিন্তু মানুষ তার খাবারের মান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকায় এখন তিনি Pathao এবং অন্য অনলাইন ডেলিভারি সেবার মাধ্যমে প্রতিদিন অনেক অর্ডার পাচ্ছেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে ধীরে ধীরে বড় বিনিয়োগ ছাড়াই ব্যবসা জমে উঠতে পারে, শুধু মান আর সময়মতো সেবা দেওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
অনলাইন ভিত্তিক ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। Daraz বা Facebook Marketplace ব্যবহার করে অনেকেই ঘরে তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প বা স্কিনকেয়ার পণ্য বিক্রি করছেন। গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার সুযোগ থাকায় মানুষ দ্রুত আস্থা অর্জন করতে পারছেন। আলহামদুলিল্লাহ, দেশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা যেমন bKash ও Nagad এই ব্যবসায়ীদের লেনদেনকে আরও সহজ করেছে। ফলে আগে যেখানে হিসাব-নিকাশ নিয়ে ঝামেলা থাকত, এখন কয়েক সেকেন্ডেই সব সম্পন্ন করা যায়।
ছোট ব্যবসায়ের এই পরিবর্তিত চিত্র অনেকের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। অনেক নারী ঘরে বসে কাজ করতে পারছেন, শিক্ষার্থীরা পার্টটাইম ব্যবসা করে নিজেদের খরচ চালাতে পারছেন, আর চাকরিজীবীরাও অতিরিক্ত আয়ের মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে ছোট ব্যবসার এ প্রবণতা আরও বিস্তৃত হবে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মাশাআল্লাহ, যেভাবে মানুষ উদ্যমী হয়ে এগিয়ে আসছেন, তাতে বাংলাদেশের ছোট ব্যবসার ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।
Top comments (0)