৩০ আগস্ট ২০২৫ অনুযায়ী বৈশ্বিকভাবে পরিবেশ সম্পর্কিত সচেতনতা অনেক বাড়লেও বাস্তবে দূষণ, বন উজাড় ও জলবায়ু পরিবর্তনের চাপ এখনো স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ওঠানামা মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করছে। আলহামদুলিল্লাহ সচেতনতা বাড়ছে, কিন্তু টেকসই উদ্যোগ এখনো পর্যাপ্ত নয়। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে শহরকেন্দ্রিক দূষণ কমাতে গণপরিবহন উন্নয়ন ও সবুজায়ন বাড়ানোই হবে সবচেয়ে কার্যকর পথ।
একই সঙ্গে প্লাস্টিক বর্জ্য এখনো একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো ব্যস্ত এলাকায়। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় নদী ও খালগুলো দূষিত হয়ে পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করছে। ইনশাআল্লাহ যদি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয়ই দায়িত্বশীলভাবে বর্জ্য কমানো ও রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয় তাহলে পরিস্থিতি অনেক উন্নত হতে পারে। এই সময়ে পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার, পানি সাশ্রয় ও অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ খরচ কমানোর মতো সাধারণ অভ্যাসগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তরুণ প্রজন্ম অনলাইনে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করছে যা মাশাআল্লাহ ইতিবাচক একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। Facebook ও YouTube এর মতো প্ল্যাটফর্মে সচেতনতামূলক ভিডিও, বৃক্ষরোপণ ক্যাম্পেইন ও পুনর্ব্যবহার সম্পর্কিত পরামর্শ শেয়ার করা হচ্ছে। আমরা যদি সবাই নিজের অবস্থান থেকে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে পারি তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
Top comments (0)