ঢাকায় ব্যস্ত নগরজীবনের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য এখন একটি আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও অনিদ্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরের দ্রুতগতির জীবন, দীর্ঘ যানজট, প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরিবেশ এবং পরিবারিক দায়িত্ব মিলিয়ে অনেকেই মানসিক ক্লান্তিতে ভুগছেন। আলহামদুলিল্লাহ সমাজে ধীরে ধীরে সচেতনতা বাড়ছে এবং মানুষ এই বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে শুরু করেছে।
বনানীর অনেক তরুণ তরুণী এখন বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা বা বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে চেষ্টা করছেন। উদাহরণ হিসেবে, কিছুদিন আগে একজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন যে বিদেশে পড়ার আবেদন প্রক্রিয়া, ইংরেজি পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং আর্থিক পরিকল্পনা একসাথে সামলাতে গিয়ে তিনি প্রচুর চাপের মধ্যে ছিলেন। পরে তিনি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, বন্ধুর সঙ্গে কথোপকথন এবং নামাজের পর কিছু সময় নিজের জন্য রাখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন। তিনি বলেন যে মানসিক চাপের কথা কাউকে বলা নিজেকে হালকা করতে সাহায্য করেছে।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে মানসিক চাপ কমাতে ছোট ছোট অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য হলেও নিজের পছন্দের কোনো কাজ করা, পরিবার বা বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটানো, পর্যাপ্ত ঘুম এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক। ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে অনেকে সন্ধ্যায় চা খেতে খেতে বন্ধুর সঙ্গে একটু গল্প করাকে মানসিক শান্তির বড় উৎস হিসেবে উল্লেখ করেন। বিশেষ করে ফুচকা বা চটপটির দোকানে দাঁড়িয়ে কয়েক মিনিটের আড্ডাও অনেককে স্বস্তি দেয়।
স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এখন অনেক হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং অনলাইন পরামর্শ প্ল্যাটফর্ম মানসিক স্বাস্থ্যকে আলাদা সেবা হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছে। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে এই সেবার পরিধি আরও বাড়বে এবং মানুষ আরও সহজে সাহায্য নিতে পারবে। বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক স্বাস্থ্যকে শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ভাবা উচিত। নিজের মনের অবস্থার যত্ন নেওয়া কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সুস্থ জীবনের অপরিহার্য অংশ।
এই বাড়তি সচেতনতা সমাজে একটি নতুন ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মানুষ বুঝতে শুরু করেছে যে মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্নতা লুকিয়ে রাখার বিষয় নয়, বরং সমাধানের জন্য এগিয়ে আসার বিষয়। মাশাআল্লাহ বর্তমান প্রজন্ম এই বিষয়ে আরও খোলামেলা এবং সহানুভূতিশীল হয়ে উঠছে, যা পুরো সমাজের জন্যই ভালো সংকেত।
Top comments (0)