আসসালামু আলাইকুম ভাই ও আপারা। আজকে একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। আমরা অনেক সময় ছোটখাটো অসুখে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে দৌড়াই বা ওষুধের দোকানে যাই। কিন্তু আমাদের দাদি নানিরা যুগ যুগ ধরে যে ঘরোয়া চিকিৎসা করে আসছেন, সেগুলো কিন্তু এখনো অনেক কার্যকর। আলহামদুলিল্লাহ আমি নিজেও এই পদ্ধতিগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি।
গত সপ্তাহে আমার একটু সর্দি কাশি হয়েছিল। গুলশানের এই শীতে এটা তো স্বাভাবিক। আমি কিন্তু সাথে সাথে ওষুধ খাইনি। বাসায় আদা, মধু আর লেবু দিয়ে গরম পানি বানিয়ে খেলাম। সাথে একটু তুলসী পাতার রস। দুই তিন দিনের মধ্যে মাশাআল্লাহ অনেকটা সুস্থ। এই সহজ জিনিসগুলো আমাদের রান্নাঘরেই পাওয়া যায়, কিন্তু আমরা ভুলে যাই।
পেটের সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগি। বিশেষ করে বাইরের খাবার খেলে, ফুচকা চটপটি এসব। এক্ষেত্রে জিরা পানি বা পুদিনা পাতার রস খুবই উপকারী। আমার এক বন্ধু মিরপুরে থাকে, সে বলছিল তার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ছিল অনেক দিন। নিয়মিত সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করার পর অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন, এগুলো সাধারণ সমস্যার জন্য। বড় কোনো অসুখ হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন।
হলুদের কথা না বললেই নয়। আমাদের বাংলাদেশি রান্নায় হলুদ তো থাকেই। কিন্তু কাঁচা হলুদ বেটে দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ত্বকের সমস্যাতেও হলুদের পেস্ট অনেক কাজে দেয়। আমার আম্মা এখনো এই পদ্ধতিগুলো মানেন এবং আলহামদুলিল্লাহ উনি বেশ সুস্থ আছেন।
শেষে বলতে চাই, ঘরোয়া চিকিৎসা মানে আধুনিক চিকিৎসাকে অস্বীকার করা না। বরং ছোটখাটো সমস্যায় প্রাকৃতিক উপায় চেষ্টা করা। ইনশাআল্লাহ সবাই সুস্থ থাকবেন। কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাবেন। 🌿
Top comments (0)