পরীক্ষার সময় যতই কাছে আসে, মনে একধরনের চাপ কাজ করে। বিশেষ করে আমাদের মতো BCS প্রার্থীদের জন্য প্রস্তুতি দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় অনেক সময় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। আমি নিজেও কুমিল্লায় পড়াশোনা করার সময় একটা জিনিস খুব অনুভব করেছি যে পরিকল্পনা ছাড়া পড়লে যতই চেষ্টা করি, ফল ভালো আসে না। তাই প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হওয়া উচিত নিজের পড়ার সময়, দুর্বলতা আর লক্ষ্য পরিষ্কারভাবে ঠিক করে নেওয়া। আলহামদুলিল্লাহ, ছোট ছোট দৈনিক লক্ষ্য ঠিক করতেই আমি পড়ায় নিয়মিত হতে পেরেছিলাম।
পড়ার সময় অনেকেই দীর্ঘ সময় একটানা পড়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু এতে ক্লান্তি বাড়ে। আমার অভিজ্ঞতায় ৫০ মিনিট পড়ে ১০ মিনিট বিরতি নেওয়া খুব কার্যকর। এতে মনোযোগ ঠিক থাকে এবং পড়া মনে থাকে। চাইলে বিরতির সময় ছোট করে চা খেতে পারেন বা একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ এই রুটিনটি নিয়মিত মানলে দেখবেন পড়া অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে।
BCS বা যেকোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বারবার রিভিশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি সাধারণত প্রতিদিন রাতে সারা দিনের পড়া দ্রুত দেখে নিতাম, এতে ভুলগুলো চোখে পড়ে এবং মনে স্থায়ী হয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই YouTube লেকচার বা অনলাইন মডেল টেস্ট ব্যবহার করছেন, এটা সত্যিই কাজে দেয়। তবে মনে রাখতে হবে, টেকনোলজি যেন সাহায্য করে কিন্তু বিভ্রান্ত না করে। তাই Facebook বা অন্য অ্যাপ থেকে নোটিফিকেশন বন্ধ রাখাই ভালো।
সবশেষে, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চাপ বেশি হলে পড়া আর কাজে আসে না। আমি মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হাঁটতে যেতাম, এতে মনটা পরিষ্কার হয়ে যেত। চাইলে নামাজের পর কয়েক মিনিট দোয়া করতে পারেন বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন, এতে মন শক্ত থাকে। মাশাআল্লাহ, ইতিবাচক থাকা প্রস্তুতির অর্ধেক শক্তি জোগায়।
ইনশাআল্লাহ নিয়মিত পরিকল্পনা, সঠিক রিভিশন আর মানসিক ভালোর উপর গুরুত্ব দিলে পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেক সহজ লাগবে। সবার জন্য দোয়া রইলো, আল্লাহ আপনাদের পরিশ্রমের উত্তম প্রতিদান দিন।
Top comments (0)