পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো এখন শুধু গবেষণাগারের বিষয় নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। ঢাকা সহ দেশের বড় শহরগুলোতে বায়ুদূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রতিদিনই বাড়ছে। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে ধুলো, যানবাহনের ধোঁয়া এবং নির্মাণকাজের কারণে বাতাসের মান আরও খারাপ হয়। এসব কারণে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি এবং চোখের জ্বালা বহু মানুষের জীবনে নিয়মিত সমস্যা তৈরি করছে। আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেকেই সচেতন হচ্ছেন, কিন্তু সামগ্রিকভাবে আরও শক্ত উদ্যোগ দরকার।
বর্তমান সময়ে প্লাস্টিক দূষণও পরিবেশের জন্য বড় এক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে নদী পর্যন্ত প্লাস্টিক বর্জ্য দ্রুত জমা হচ্ছে, ফলে পানি দূষণ বেড়ে চলেছে। এটি শুধু প্রকৃতির নয়, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। ইনশাআল্লাহ যদি আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করি এবং দৈনন্দিন জীবনে পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য ব্যবহার করি, তাহলে পরিস্থিতি অনেকটাই পরিবর্তন হবে। এ জন্য ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশে এখন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। অনিয়মিত বৃষ্টি, তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং মৌসুমি বন্যার ধরনে পরিবর্তন কৃষি উৎপাদনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। এসব পরিবর্তন আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির উপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। এখনই যদি পরিবেশ সুরক্ষায় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে উদ্যোগ নেওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য দেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। মাশাআল্লাহ আমাদের তরুণরা এসব নিয়ে গবেষণা ও উদ্যোগে আগ্রহী, যা আশা জাগায়।
Top comments (0)