প্রবাসে থাকলে সম্পর্কের যত্ন নেওয়া যে কতটা চ্যালেঞ্জিং হয়, সেটা অনেক ভাই-আপাই বোঝেন। বিশেষ করে সময়ের পার্থক্য, ব্যস্ত রুটিন আর মনখারাপের মুহূর্তগুলো মাঝে মাঝে দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই আজ ৩১ আগস্ট ২০২৫ এর এই দিনে বসে ভাবলাম, নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আর কিছু ব্যবহারিক টিপস শেয়ার করি। আলহামদুলিল্লাহ, ছোটখাটো সমন্বয় আর ধৈর্যের মাধ্যমে সম্পর্ককে সুন্দর রাখাটা আসলে সম্ভব, ইনশাআল্লাহ আপনাদেরও কাজে লাগবে।
প্রথম কথা, নিয়মিত যোগাযোগের বিকল্প নেই। প্রবাসে থাকলে ব্যস্ততা থাকতেই পারে, কিন্তু দিনে অন্তত কয়েক মিনিট হলেও সঙ্গীর খবর নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু “কি খবর?” বা “আজ কেমন গেল?” জিজ্ঞেস করাটাই দুইজনের মাঝে সংযোগটা তৈরি রাখে। আমি নিজেই কয়েক বছর আগে এমন এক পর্যায়ে ছিলাম যখন ব্যস্ততার কারণে কথা কমে গিয়েছিল, পরে বুঝেছি এই অবহেলা আসলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করে। তাই এখন সময় কম হলেও ভিডিও কল বা ভয়েস নোট পাঠানোর চেষ্টা করি।
দ্বিতীয়ত, প্রত্যাশা আর সীমারেখা পরিষ্কার করা জরুরি। অনেক সময় ছোট বিষয় নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়, কারণ দুইজনের ভাবনা এক না হওয়া। উদাহরণ হিসেবে, আমি একবার ঠিক করেছিলাম সপ্তাহে দুইদিন একসাথে অনলাইনে সিনেমা দেখব। কিন্তু কাজের চাপের কারণে সেটা নিয়মিত পারছিলাম না। পরে আপার সাথে কথা বলে ঠিক করলাম বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা করব। এতে ভুল বোঝাবুঝি কমে গেল এবং সম্পর্কটা আরও স্বস্তিকর হলো।
তৃতীয়ত, প্রশংসা আর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে কিপ্টেমি করা ঠিক না। আমাদের সমাজে অনেকেই মনে করেন সম্পর্কের মধ্যে প্রশংসা করা নাকি লজ্জার ব্যাপার, কিন্তু বাস্তবে ছোট্ট একটা “মাশাআল্লাহ আজ বেশ সুন্দর লাগছে” অথবা “তোমার পরামর্শটা খুব কাজে লেগেছে” বললে সম্পর্ক অনেক মজবুত হয়। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এই ছোট ছোট কথাই দূরত্ব কমায়।
সবশেষে বলব, ধৈর্য আর পরস্পরের প্রতি সম্মানই দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের মূল শক্তি। জীবনের সব সময় একরকম যায় না। কখনও মন খারাপ, কখনও ব্যস্ততা। কিন্তু একে অপরকে বোঝা আর বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোই সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করে। ইনশাআল্লাহ, যারা প্রবাসে থেকেও সম্পর্ক সুন্দর রাখতে চান, তারা যদি নিয়মিত যোগাযোগ, পরিষ্কার প্রত্যাশা আর পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখেন, তবে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। ❤️
Top comments (0)